চলেছে গরুর পাল। নিজস্ব চিত্র।
মূলত শীত এবং বর্ষাকালেই গরু পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। সীমান্তে গরু পাচার রুখতে বাড়তি তৎপর হল বিএসএফ। ইতিমধ্যেই সীমান্ত এলাকায় থাকা চৌকিগুলিকে এ নিয়ে সতর্ক করেছে তারা।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের আইজি অশ্বিনীকুমার সিংহ শুক্রবার সমস্ত ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসারদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। বর্ষায় গরু এবং মাদক পাচার রুখতে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ষায় গবাদি পশু পাচার বাড়ে। তাই পাচারপ্রবণ অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে যথেষ্ট সংখ্যক বোট, রাতে নজরদারির মতো সরঞ্জাম এবং সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। পাশাপাশি, প্রতিটি চৌকিতে জওয়ানের সংখ্যা বাড়ানো বিশেষত সম্ভাব্য পাচারের এলাকাগুলিতে আরও বেশি করে জওয়ানকে মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। বিএসএফ সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গে সীমান্ত এলাকাগুলি দিয়ে গবাদি পশু বর্তমানে প্রায় বন্ধই রয়েছে। দীর্ঘদিন পাচারের ঘটনা কারও নজরে আসেনি। বৈঠকে বিষয়টি তোলার পাশাপাশি কমান্ডিং অফিসারদের সতর্ক করা হয় এই বলে যে, বর্ষা নামায় ফের পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে নিমতিতা, হারুডাঙা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বর্ষার সময়ে নদীতে প্লাবনের সুযোগ নিয়ে গবাদি পশু পাচারের চেষ্টা হয়। বিএসএফে’র দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি সুরজিত সিংহ গুলেরিয়া জানান, ফিল্ড কমান্ডাররা তাঁদের এলাকার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করবেন। প্রয়োজনে যাতে দ্রুত যৌথ অভিযান চালানো যায় এবং পশু পাচারের সম্ভাবনা রুখে দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে বলা হয়েছে। প্রতি বছরই বর্ষার সময়, বিভিন্ন এলাকায় পাচার রুখতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় বিএসএফ। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিরও সঙ্গেও কমান্ডিং অফিসারদের সমন্বয় বজায় রাখার কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয় ওই বৈঠকে। বর্ষায় গঙ্গা ও পদ্মার জল ফুলেফেঁপে উঠলে নানা কৌশলে নদীর জলে সাঁতার কাটিয়ে পাচারের গরু নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছর এ ধরনের একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিল বিএসএফ। এদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে পাল পাল গরু জঙ্গিপুর দিয়ে সীমান্তের দিকে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। বিএসএফে’র যদিও দাবি, জঙ্গিপুর ও নিমতিতা সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের খবর তাদের কাছে নেই।