Domkal

বোমার মশলা মেলে শব্দবাজির কারখানা থেকেই

দীর্ঘ দিন ধরে এ সব দিয়ে বোমা তৈরির কারবার চলে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে। তবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির খুব বেশি ঝুঁকি নেয় না এলাকার কারবারিরা।

Advertisement
সুজাউদ্দিন বিশ্বাস
ডোমকল শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বোমার মশলা আসে এ রাজ্যের বিভিন্ন পটকা বোম বা শব্দবাজি তৈরির কারখানা থেকে। সকেট থেকে পেরেক মেলে স্থানীয় হার্ডওয়্যারের দোকানে। দীর্ঘ দিন ধরে এ সব দিয়ে বোমা তৈরির কারবার চলে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে। তবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির খুব বেশি ঝুঁকি নেয় না এলাকার কারবারিরা। কারণ বিহার থেকে খুব কম পয়সায় আগ্নেয়াস্ত্র মেলে, তা ছাড়া তাদের মতো দক্ষ হাতের ছোঁয়াও থাকে না নিজেদের তৈরি অস্ত্রে। এ ছাড়া স্থানীয় ভাবে তৈরি করতে গেলে খরচ পড়ে প্রায় মুঙ্গেরের কাছাকাছি। তবে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে কৌশল বদলেছে কারবারিরা। আগের মতো পুরোপুরি তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র না এনে এক একটা অংশ আলাদা করে আলাদা আলাদা জায়গায় এনে অ্যাসেম্বল করা হচ্ছে এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এ ক্ষেত্রে রাস্তায় বহন করা অনেকটাই সুবিধা বলে জানিয়েছে কারবারিদের একাংশ। তাদের দাবি, প্রাথমিক ভাবে একটা রড বা আলাদা করা একটা ঘোড়া অথবা স্প্রিং দেখে কিছু বোঝার উপায় থাকে না এটা কী। ফলে সন্দেহের নজর এড়াতেই নেওয়া হয় এই কৌশল।

Advertisement

তবে এগুলি অ্যাসেম্বলের ক্ষেত্রে ভিন্ রাজ্য থেকেই নিয়ে আসা হয় দক্ষ কারিগর। তারা এসে স্থানীয় সহযোগীদের সাহায্য নিয়ে অ্যাসেম্বল করেই ফিরে যায়। পুরাতন এক আগ্নেয়াস্ত্র কারবারির দাবি, ‘‘একটা সময় সাইকেল সারাইয়ের দোকানের আড়ালে ওই কারবার করতাম আমি। কিন্তু সে ক্ষেত্রে রাতের বেলা নানা রকম লোহা কাটার বা খুটখাট শব্দে প্রতিবেশীরা অনেকেই সন্দেহ করতেন। আর এ সব থেকেই দু’বার পুলিশের জালে পড়তে হয়েছিল আমাকে। এখন এ সব কাজ ছেড়ে দিয়েছি, তবে শুনেছি এখন বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে এসে কেবল অ্যাসেম্বলটা করা হয় আমাদের এলাকায়।’’ এতে বাইরে থেকে শব্দ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। তা ছাড়া সাধারণ ভাবে কারও সন্দেহ হওয়ার কারণ নেই।

জেলা পুলিশের একাংশের দাবি, অবৈধ যাবতীয় কারবারে কারবারিরা নতুন নতুন কৌশল নেয়। এটাও তারই একটা অংশ। এখন যে ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কারবারিরা কাজ চালাচ্ছে তাতে গোপন সূত্রে খবর ছাড়া তাদের আটক করা খুব কঠিন কাজ।

আরও পড়ুন
Advertisement