CV Ananda Bose

সংস্কৃত গবেষণায় জোর রাজ্যপালের

বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ তিনি পৌঁছন শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে নবদ্বীপ ব্লকের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতে ফরেস্টডাঙায় গঙ্গার ধারে ওই সংস্কৃত গবেষণা কেন্দ্রে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ১০:২১
নবদ্বীপে সংস্কৃত বিদ্যালয়ে রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার।

নবদ্বীপে সংস্কৃত বিদ্যালয়ে রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।

রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন উপাচার্য। বুধবার সন্ধ্যায়। পরের দিনই রাজ্যের সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, নবদ্বীপের “মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য সংস্কৃত-সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র” পরিদর্শনে এলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ তিনি পৌঁছন শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে নবদ্বীপ ব্লকের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতে ফরেস্টডাঙায় গঙ্গার ধারে ওই সংস্কৃত গবেষণা কেন্দ্রে। ২০২২ সালে চালু হওয়া ওই ক্যাম্পাসের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসারের কথা শোনেন রাজ্যপাল। ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখেন।

পরে পড়ুয়াদের রাজ্যপাল বলেন, “২০২৪ সালে কলকাতার সংস্কৃত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ২০০ বছরে পা দিতে চলেছে। এই গবেষণা কেন্দ্রটিকে গ্লোবাল সংস্কৃত হাব হিসাবে গড়ে তোলা হবে।” শ্রেষ্ঠ পড়ুয়াকে পাঁচ লক্ষ টাকার ‘গভর্নর’স অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। কার জন্য উপাচার্যকে বিচারক নিয়োগের পরামর্শও দেন তিনি। তবে ওকোন রাজনৈতিক বিষয়ে রাজ্যপাল কথা বলতে চাননি।

উপাচার্য রাজকুমার কোঠারী বলেন, “বুধবার আমরা রাজভবনে গিয়ে আচার্যকে এই ক্যাম্পাস প্রসঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় কথা জানিয়েছিলাম। প্রথম এবং দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে ৯০ জন পড়ুয়া বাংলা এবং সংস্কৃতে এমএ পড়ছেন। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হবে গবেষণা। কিন্তু পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্থায়ী শিক্ষকের অভাব রয়েছে। উনি দু ঘণ্টা ধরে বিষয়টি নিয়ে গতদিন আলোচনা করেছেন। রাজ্যপালের পরামর্শ মতো আমরা প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তুত করছি। আগামী দিন তা আচার্যের কাছে জমা দেব।”

আরও পড়ুন
Advertisement