Kalyani Agriculture University

কল্যাণী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস, তবু ছাত্রবিক্ষোভ

চলতি বছরের জুনে ছাত্রবিক্ষোভে বার বার উত্তাল হয়েছে কল্যাণীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। চলতি বছর ২৭ জুলাই অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৩ ১৭:৩০
Gautam Saha and CV Ananda Bose

নতুন উপাচার্য গৌতম সাহা এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (বাঁ দিক থেকে)। —ফাইল চিত্র।

উপাচার্যের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্রবিক্ষোভ চলছিল। অবশেষে নদিয়ার কল্যাণীর মোহনপুর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে গৌতম সাহাকে নিয়োগ করলেন তিনি। যদিও স্থায়ী উপাচার্যের দাবিতে এখনও আন্দোলনে অনড় পড়ুয়ারা। অন্য দিকে, অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি ‘স্বস্তির খবর’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শুভ্রজ্যোতি দাস।

Advertisement

চলতি বছরের জুনে ছাত্র বিক্ষোভে বার বার উত্তাল হয়েছে কল্যাণীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। চলতি বছর ২৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটে তালা লাগিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। পরবর্তীকালে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবস্থান প্রত্যাহার করেন বিক্ষোভকারীরা। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে অস্থায়ী উপাচার্য পেল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। গৌতম এগ্রিকালচার মেটেরোলজি এবং পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। তাঁর নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘উপাচার্য না থাকায় পঠনপাঠন-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয়ে সমস্যা হয়। আশা করছি, সে বিষয়গুলির সাময়িক সমাধান হবে।’’

অন্য দিকে, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের তরফে কৃষি বিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনির্বাণ দাস বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, স্থায়ী উপাচার্যের। যত দিন স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে, তত দিন আমাদের আন্দোলন চলবে। তবে পদক্ষেপ যে হয়েছে, সে জন্য সাধুবাদ জানাব।’’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত তৈরি হয়েছে। শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। অস্থায়ী উপাচার্য, রাজ্যপাল নিয়োগ করলে তাঁদের বেতন–সহ অন্যান্য সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সবের মধ্যে মামলা হয় আদালতে। তার মধ্যে বেশ কয়েক জন অস্থায়ী উপাচার্য ইস্তফাও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement