unnatural death

ব্যক্তিগত মুহূর্তের ঘনিষ্ঠ ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, অপমানে চরম পথ বেছে নিল ভরতপুরের কিশোরী

কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক ভুল বুঝিয়ে কিশোরীর সঙ্গে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি তুলে নিজের কাছে রেখেছিল। সেই ছবি দেখিয়ে কিশোরীকে নিত্য ব্ল্যাকমেল করা হত বলেও তাঁর অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভরতপুর শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:১৬
representational image

— প্রতীকী ছবি।

স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন গ্রামেরই এক যুবক। প্রতিবাদ করলে তাঁর ‘খারাপ ছবি’ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত কিশোরীকে। কিশোরীর পরিবার যুবকের পরিবারকে বার বার বিষয়টি জানালেও অভিযোগ তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরীকে আবার একই হুমকি দিলে চরম পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কিশোরী। এমনটাই অভিযোগ মৃত কিশোরীর পরিবারের। যদিও অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিশোরীর মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ভরতপুর থানার মদনপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিশোরী আলুগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। অভিযোগ, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এক যুবক স্কুলে যাতায়াতের পথে কিশোরীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। প্রতিবাদ করলে কিশোরীর ‘খারাপ ছবি’ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন ওই যুবক। এমনই অভিযোগ, মৃত কিশোরীর পরিবারের। তাদের আরও অভিযোগ, হুমকি এবং আতঙ্কের জেরে নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন বছর ১৫-এর কিশোরী। ভরতপুর থানার পুলিশ এসে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ কান্দি মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মৃত কিশোরীর মা বলেন, ‘‘ওই ছেলেটির স্বভাব খুব খারাপ। আমার মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে বেশ কিছু খারাপ ছবি তুলে রেখেছিল। পরবর্তীতে সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নিয়মিত ভয় দেখাত। আমার মেয়ে সেই অপমানেই আত্মঘাতী হয়েছে। আমি দোষীর কঠোর শাস্তি চাই।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement