ঘাটে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই ফের গঙ্গা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদ থানা এলাকার খোসবাগের ঘটনা। যদিও ওই দেহ কার সে বিষয়ে এখনও কোনও কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই দেহে ইতিমধ্যেই পচন ধরেগিয়েছে। তবে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ওই দেহ কোনও পুরুষের। পচন ধরে দেহের বেশিরভাগ অংশই নষ্ট হয়েগিয়েছে সেহেতু ওই পুরুষের আনুমানিক বয়স কত তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। তবে, ওই দেহ প্রায় সাত দিন ধরে জলেই ছিল বলে অনুমান পুলিশের। ওই দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে গঙ্গার পাড়ের জমিতে কৃষিকাজ করতে গিয়ে গঙ্গায় খোশবাগে ওই দেহ ভেসে যেতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর তারা খবর দেয় মুর্শিদাবাদ থানায়। প্রথমে জলে ভাসা অবস্থায় ওই দেহর মাথা দেখা যাচ্ছিল না। ফলে, সকলেই মনে করে গলা কেটে খুন করে কাউকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে ডাঙায় দেহ তোলার পর দেখা যায় মাথাও রয়েছে কিন্তু এমনভাবে দেহটায় পচন ধরেছে যে মাথা জলের ভিতর দিকে একেবারে নুইয়ে গিয়েছে। তবে, এদিন গঙ্গায় ওই দেহ উদ্ধারের পর পরই আশেপাশের গঙ্গার ঘাট গুলো থেকে স্নানের ও জল নেয়ার লোকজন ফাঁকা হয়ে যায়। গঙ্গার পাড়ে চাষের জমিতে কাজ করতে এসেও অনেকেই ফিরে গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের গঙ্গায় তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও, পুলিশ জানিয়েছিল, ওই দেহ কোথাও পোঁতা ছিল জল বেড়ে ভাঙণের কারনে কোথাও থেকে ভেসে এসেছে। ওই দেহ উদ্ধারের পর পরই লালবগের গঙ্গায় দেহ ভাসতে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে অনেকখানি। এমত অবস্থায় মাস দুয়েক আগেই উত্তর প্রদেশ ও বিহারের গঙ্গায় করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল। এমনকি কোনও বিহারের কোনও দেহ গঙ্গা হয়ে যেন আমাদের রাজ্য আসতে না পারে তার জন্য মালদহের গঙ্গায় বিশেষ ব্যবস্থাও করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।
এবিষয়ে লালবাগের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিক্রম প্রসাদ বলেন, ‘‘ভয়ের কিচ্ছু নেই। দেহটা দেখে প্রাথমিকভাবে যেটা অনুমান করা হচ্ছে হয়তো কোনও রকমে তলিয়ে গিয়েছিল। প্রতিটি থানায় খবর পাঠানো হয়েছে বিশেষ করে গঙ্গার পাড়ের থানা এলাকা গুলোকে কি তাদের এলাকার কেউ নিঁখোজ রয়েছে কি না। ময়নাতদন্তের পরই সব বোঝা যাবে।’’