Death

সেনা জওয়ানের স্ত্রীর দেহ নিয়ে ধর্নায় পরিবার, স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার মৌমিতা দাসের সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় নাকাশিপাড়া যুগনি তলার গৌরাঙ্গ সরকার নামে এক সেনা জওয়ানের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:২৮

—প্রতীকী চিত্র।

সেনা আবাসন থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বধূর। উদ্ধার করে প্রথমে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। দেহ বাড়িতে ফিরতেই স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসল মৃতার পরিবার। ঘটনাটি নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার নিশ্চিন্তপুরের। মৃতা বধুর নাম মৌমিতা দাস (২১)। সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বধূর পরিবার।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার মৌমিতা দাসের সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় নাকাশিপাড়া যুগনি তলার গৌরাঙ্গ সরকার নামে এক সেনা জওয়ানের। ওই ব্যক্তি পঞ্জাবের পাতিয়ালায় সেনা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি স্ত্রীকে তিনি বাড়ি থেকে নিয়ে যান পঞ্জাবে। ঠিক দু’দিন পর রবিবার মৌমিতার মৃত্যুসংবাদ পৌছল বাড়িতে। তাঁর গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। পরিবারের দাবি, এটা আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন! রবিবার দুপুরে দেহ বাড়ি এসে পৌঁছলে এলাকাবাসীরা দেহ নিয়ে এসে গৌরাঙ্গ সরকারের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান এবং শাস্তির দাবিতে ধর্নায় বসেন। খবর যায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ এলে তারা পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখান। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর নিরপেক্ষ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিলে ধর্না ওঠে।

মৃত বধূর আত্মীয় টুম্পা দাস বলেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে মৌমিতাকে পঞ্জাবে নিয়ে গিয়ে খুন করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে ময়নাতদন্তকে প্রভাবিত করেছে। ফোন করে এখানে ময়নাতদন্ত করে গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে শাস্তি দিতে হবে।’’ অভিযুক্তের দাদা নিতাই সরকার বলেন, ‘‘মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করেছে। মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement