crop

Nadia: নিয়ম না মেনেই চলছে নাড়া পোড়া

পরিবেশের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চলছে ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা বা নাড়াপোড়া। সব জেনেও উদাসীন রয়েছে প্রশাসন!

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নদিয়া শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:১৪
পরিবেশের চরম ক্ষতি করছে এই নাড়া পোড়ানো।

পরিবেশের চরম ক্ষতি করছে এই নাড়া পোড়ানো। প্রতীকী চিত্র।

অভিযোগ, পরিবেশের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চলছে ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা বা নাড়াপোড়া। সব জেনেও উদাসীন রয়েছে প্রশাসন, জানাচ্ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।

তেহট্ট থেকে পলাশিপাড়া রাজ্য সড়কের দুই ধারের অধিকাংশ জায়গায় রয়েছে চাষের জমি। অভিযোগ, সেখানে চাষের জমির উপরে অবাধে চলছে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো বা নাড়াপোড়া। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে না প্রশাসনকে, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষ ও পরিবেশপ্রেমীদের।

Advertisement

এই বিষয়ে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জমির ফসল কাটার পর অবশিষ্টাংশ কৃষকেরা তাঁর নিজের জমিতে পুড়িয়ে ফেলেন। যে কারণে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি অত্যাধিক পরিমাণে দূষিত হচ্ছে মাটিও। মাটির ১ থেকে ৬ ইঞ্চি নীচ পর্যন্ত থাকে উপকারী জীবাণু, যা ওই খড় বা নাড়া পোড়ানোর ফলে নষ্ট হয়ে যায়। এতে পরবর্তীতে ফসল ফলানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এই নাড়াপোড়া অবৈধ বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগও।

চাষিরা জানাচ্ছেন, সর্ষে উৎপাদনের পর জমিতেই মেশিন দিয়ে ঝাড়া ও বাছাই হয়েছিল সর্ষে। এর পরে সেই জমিতে ফসলের অবশিষ্টাংশ থেকে যায়।‌ সে সব কোনও কাজে না লাগায় অন্যত্র বহন করে নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল। সে কারণেই জমিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

পরিবেশকর্মীরা জানাচ্ছেন, জমির অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর সময়ে অতিরিক্ত পরিমাণে মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইড তৈরি হয়। যা সরাসরি বায়ুদূষণ ঘটাচ্ছে। তা ছাড়া, ২০১৯ সালের পরিবেশ দফতরের এক নির্দেশিকায় জমির নাড়া পোড়ানোকে আইনি ভাবে বন্ধ করার কথা বলা হয়। তেহট্ট ১ সহ কৃষি আধিকারিক আনন্দকুমার মিত্র বলেন, “কালই টিম পাঠিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement