Municipality Election

CPIM: সবুজ ঝড়ের মাঝে তাহেরপুরে দুর্গরক্ষা লাল ঝান্ডার, ব্যাপক উচ্ছ্বাস বামশিবিরে

গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যে একটিও আসন পায়নি সিপিএম। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই পুরসভার ভোটে সিপিএম নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা দখলে রাখল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২২ ১৩:৩২
গত পুরভোটেও তাহেরপুর পুরসভার দখল ছিল বামেদের হাতেই।

গত পুরভোটেও তাহেরপুর পুরসভার দখল ছিল বামেদের হাতেই। প্রতীকী ছবি।

সবুজ ঝড় জারি রইল রাজ্যের ১০৮ পুরভোটেও। আরও ফিকে হল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তৃণমূলের এই বিপুল জয়ের মধ্যে বামেদের অস্তিত্ব টিকে রইল নদিয়ার তাহেরপুরে। গত বিধানসভা ভোটে একটিও আসন না পাওয়া সিপিএম এই পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখল। গত বিধানসভা ভোটে সারা রাজ্যে একটিও আসন পায়নি সিপিএম। মুষড়ে পড়েছিলেন দলের সমর্থকেরা। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই পুরসভার ভোটে তাহেরপুর তাঁদের খানিকটা অক্সিজেন দিল বৈকি! বস্তুত, ১০৮ পুরসভার ভোটে এই একটি মাত্র পুরসভাতেই নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখল বামেরা।

নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভার মোট ১৩টি ওয়ার্ড আছে। তার মধ্যে ৮টিতে জয় পেয়েছে সিপিএম। বাকি ৫টিতে জয়ী হয়েছে শাসক তৃণমূল। উল্লেখ্য, গত পুরভোটেও এই পুরসভা বামেদের দখলে ছিল। সেবার ৭টি আসন পেয়েছিল বামেরা। তৃণমূল পেয়েছিল ৬টি আসন। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে সিপিএমের একটি আসন বেড়েছে তাহেরপুরে। তৃণমূলের কমেছে একটি আসন। ঘটনাচক্রে, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে তাহেরপুরের একটি ওয়ার্ডেও এগিয়ে ছিল না সিপিএম তথা বামেরা। সেদিক দিয়েও পুরভোটের ‘কৃতিত্ব’ ফেলে দেওয়ার মতো নয়।

Advertisement

বরাবর বামেদের ‘শক্ত ঘাঁটি’ বলে পরিচিতি তাহেরপুরে ছবিটা বদলায় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে। সেবার পুরসভার অন্তর্গত ১২টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। ভোট শতাংশের বিচারে দুইয়ে ছিল তৃণমূল, বামেরা ছিল তৃতীয় স্থানে। আবার ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি-কে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় তৃণমূল। ১২টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল তারা। বাকি একটি ওয়ার্ডে প্রথম স্থানে ছিল বিজেপি। তবে পুরভোটে ‘কামব্যাক’ করেছে বামেরা।

ফল ঘোষণার পর তাহেরপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সিপিএম নেতা রঞ্জন রায় জানান, সার্বিক ভাবে ‘বিকল্প নীতি’-র জয় হয়েছে। তাহেরপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রতিম বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এটা দুর্নীতির প্রশ্নে ‘জিরো টলারেন্স’, নাগরিক পরিষেবায় ১০০ শতাংশ দেওয়ার ফল। সর্বোপরি এটা তৃণমূল এবং বিজেপি-র বিভেদকামী রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষের সার্বিক জয়।’’

পক্ষান্তরে, বিজেপি নেতা রাজু আড্য জানান, নির্বাচন পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে এই পরাজয়ের কারণ খুঁজতে হবে। স্থানীয়দের একাংশের অবশ্য দাবি, বিধানসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের ‘ঔদ্ধত্য’ মানুষের কাছ থেকে তাঁদের বিচ্ছিন্ন করেছে। এ নিয়ে তৃণমূলের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement