Abandoned Child

নবদ্বীপে দুধের শিশুকে চায়ের দোকানে ফেলে উধাও ‘বাবা-মা’! অন্য মায়ের স্তনে বাঁচল প্রাণ

দু’মাসের শিশুকে চায়ের দোকানে রেখে উধাও হয়ে গেলেন যুগল। খিদের জ্বালায় শিশু কাঁদতে শুরু করলে অন্য এক মহিলা তাকে স্তন্যপান করান। পরে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৩
পরিত্যক্ত শিশুকে বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

পরিত্যক্ত শিশুকে বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।

চায়ের দোকানে একরত্তি সন্তানকে ফেলে পালিয়ে গেলেন ‘বাবা-মা’। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হল, নামল রাত। তবু ফিরলেন না! খিদের জ্বালায় ছটফট করতে থাকা শিশুটিকে স্তন্যদান করলেন পাড়ার অন্য এক মহিলা। তার পর শিশুটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটি নদিয়ার নবদ্বীপের। বুধবার বিকেলে রানিঘাট এলাকার একটি চায়ের দোকানে এসেছিলেন যুগল। তরুণীর কোলে একটি শিশু ছিল। দু’মাস বয়সি ওই শিশুর বাবা এবং মা হিসাবেই পরিচয় দিয়েছিলেন যুগল। দোকানের মালিক জানিয়েছেন, তাঁদের দোকান থেকে চা খেয়ে গঙ্গারতি দেখতে যাওয়ার নাম করে সন্তানকে দোকানেই রেখেই বেরিয়ে যান যুগল। একরত্তিকে নিয়ে গেলে তার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। দোকানের মালিক শিশুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তাঁদের অনুরোধ ফেলতে পারেননি। কিন্তু বিকেল পেরিয়ে রাত হয়ে যাওয়ার পরেও যুগল ফিরে আসেননি বলে অভিযোগ।

রাতটুকু অপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশে খবর দেন চায়ের দোকানের মালিক। তিনি জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল শিশুটি। খিদের জ্বালায় যে সে কাঁদছে, তা সহজেই অনুমেয়। পাড়ায় এক মহিলার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ওই মহিলা কিছু দিন আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। দোকানির অনুরোধে তিনি একরত্তিকে স্তন্যপান করান। তার পর তার কান্না থামে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নবদ্বীপ থানার পুলিশ। তাদের সহযোগিতায় ওই শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই আপাতত ডাক্তার এবং নার্সদের পরিচর্যায় শিশুটিকে রাখা হয়েছে। ওই যুগলের সন্ধান করছে পুলিশ। তাঁদের পরিচয় কী, এই সন্তান আদৌ তাঁদের কি না, কেন সন্তানকে তাঁরা চায়ের দোকানে ফেলে গেলেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement