coronavirus

কোভিড হাসপাতালের জমি পছন্দ হল না ডিআরডিও-র

বর্তমানে কল্যাণীর এই জমিতে এত বেশি সংখ্যাক গাছপালা থাকায়, সে সব কেটে ফেটে সেখানে হাসপাতাল গড়ার পক্ষপাতী নয় পর্যবেক্ষক দল।

Advertisement
অমিত মণ্ডল
কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২১ ০৬:২৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া কোভিড হাসপাতালটির জন্য বরাদ্দ কল্যাণীর জায়গা পছন্দ হয়নি ডিআরডিও-র পর্যবেক্ষক টিমের।

এক রাজ্য প্রশাসনিক কর্তা জানাচ্ছেন, পর্যবেক্ষক দলের সংশয় অন্যত্র। তারা বুঝতে পারছে না প্রবল বর্ষা হলে ওই এলাকায় জল জমে যাবে কিনা। যদি এই রকম কিছু হয়, তা হলে কল্যাণীর ওই স্থানে কোভিড হাসপাতাল গড়ায় আগ্রহী নয় দলটি। কারণ, জল জমে গেলে হাসপাতালের কাঠামো দাঁড় করানো যাবে না।

Advertisement

ওই প্রশাসনিক কর্তাই জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় গাছপালা থাকায় এমনিতেই একটু স্যাঁতস্যাঁতে ভাব রয়েছে। সেই নিয়েই পর্যবেক্ষক টিম চিন্তায় পড়েছে। ফলে, কোভিড হাসপাতলের জন্য রাজ্য সরকারের ওই জমি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্ভবত এখনই নেওয়া হচ্ছে না। যদিও রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক দলকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে— ওই জমিতে জল জমে না। জানা যাচ্ছে, তবুও বিষয়টি নিয়ে দোলাচল রয়েছে পর্যবেক্ষক দলের মধ্যে।

রবিবারেই হাসপাতালের জমি নিয়ে পর্যবেক্ষক দল তাদের রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তা হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যেই পিএম কেয়ার্স-এর টাকায় কোভিড হাসপাতাল গড়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

রাজ্য প্রশাসনের আর এক কর্তা জানাচ্ছেন, কল্যাণীর ওই জমির পরিবর্তে সম্ভবত হরিণঘাটার আইসারের আশপাশে কোনও খেলার মাঠের কথাও ভাবা হয়েছে। তবে সেটাও চূড়ান্ত নয়।

জানা যাচ্ছে, বর্তমানে কল্যাণীর এই জমিতে এত বেশি সংখ্যাক গাছপালা থাকায়, সে সব কেটে ফেটে সেখানে হাসপাতাল গড়ার পক্ষপাতী নয় পর্যবেক্ষক দল। তারা চাইছে একবারে ফাঁকা কোনও জমি কিংবা খেলার মাঠ। কিন্তু জমি পছন্দ না হওয়ায় কারণে এখনই পিএম কেয়ার্স-এর কোভিড হাসপাতাল নদিয়ার কোথায় গড়া হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। রাজ্য প্রশাসনের কর্তারাই জানাচ্ছেন, এখনও জমি দেখা চলছে।

প্রশাসন সূত্রেই আগেই জানানো গিয়েছিল, পিএম কেয়ার্স-এর তহবিলের টাকায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কোভিড হাসপাতালের জন্য কল্যাণী ইউনাইটেড ব্রিউয়ারিজের উল্টোদিকে রাজ্য সরকারের তিন একর জমি নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে সেখানে শিশুদের জন্যও বিশেষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। জুলাই থেকেই হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা।

সেই মতো রবিবার সকালে পর্যবেক্ষক দল জমি পরিদর্শন করতে আসে কল্যাণীতে। এই বিষয়ে এস্টেট ম্যানেজার দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “পর্যবেক্ষক দল আজ জমি দেখতে এসেছিল। আমরা আগে নির্দিষ্ট করা পরিমাণ জমি দেখালাম। কিন্তু পর্যবেক্ষক দল আরও বেশি জমির কথা বলেছিল। ফলে, ৩ একরের পরিবর্তে আমরা ৩.৭ একর জমি দেখিয়েছি।”

যদিও ডিআরডিও-র পর্যবেক্ষক দল এই বিষয় নিয়েই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চায়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement