SET exam

ক্যান্টিনে বসে দেদার টুকলি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়! ভিডিয়ো ভাইরাল করলেন কলেজের অধ্যাপক

সেট (স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট) পরীক্ষাটি একটি রাজ্য স্তরের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা, যার মাধ্যমে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর’ পদে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৪৬

—প্রতীকী ছবি।

কলেজ ক্যান্টিনে দেদার টোকাটুকি চলছে! এ রকম উড়ো খবর কানে আসতেই ছুটে গিয়েছিলেন কলেজের অধ্যাপক। গিয়ে দেখেন, সত্যিই তা-ই! হাতে মোবাইল নিয়ে কলেজের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ‘সেট’ দিচ্ছেন চার পরীক্ষার্থী। সেই ঘটনারই ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক জড়িয়েছেন মুর্শিদবাদের নুরুল হাসান কলেজের কর্তৃপক্ষ। ভিডিয়োটি করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন ওই কলেজেরই অধ্যাপক সঞ্জয় মণ্ডল। সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।

Advertisement

সেট (স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট) পরীক্ষাটি একটি রাজ্য স্তরের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা, যার মাধ্যমে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর’ পদে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়। এই পরীক্ষাটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন (ডব্লিউবিসিএসসি)। রবিবার সেটের প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় টোকাটুকির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। নুরুল হাসান কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। এমন আবার হয় নাকি! দুই পরীক্ষার্থী অসুস্থ ছিল। তাই আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’’

কলেজের বাংলার অধ্যাপক সঞ্জয়ের অভিযোগ, পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও কলেজ ক্যান্টিনের একটি ঘরে বসে চার জন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তাঁদের হাতে মোবাইল ছিল। তারই ভিডিয়ো তিনি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সঞ্জয়। তিনি জানান, এই ঘটনায় কলেজে শোরগোল পড়তেই বেশ কয়েক জন অধ্যাপক ও পরীক্ষার্থী ছুটে এসেছিলেন। দাবি, তাঁদের দেখেই পালিয়ে যান ওই চার পরীক্ষার্থী। সঞ্জয় বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা জাতির মেরুদণ্ড। চোখের সামনে কলেজের অধ্যাপক নিয়োগ এত বড় দুর্নীতি দেখতে পারলাম না। এই প্রথম নয়, এর আগেও এই কলেজে এ রকম নোংরামো হয়েছে।’’ এই ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে কিছু পরীক্ষার্থীকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘অধ্যক্ষ মোটা টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের এই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।’’ পাল্টা শিবাশিস বলেন, ‘‘নিয়ম ভেঙেছেন ওই অধ্যাপক। তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কলেজের পরিচালন সমিতি। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি সৌমেন পাণ্ডে বলেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে দেখেছি এবং এক অধ্যাপকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’’

আরও পড়ুন
Advertisement