Bangla Awas Yojana

আবাস সমীক্ষা অ্যাপে সমস্যা অধিকারিকের 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্বে গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লক স্তরে আবেদনকারীদের তালিকা ধরে তাঁদের বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ করা হচ্ছে।

Advertisement
সুদেব দাস
রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:০৩
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP

আবাস প্রকল্পে ঘর দিতে গ্রামে-গ্রামে প্রকৃত প্রাপক চিহ্নিতকরণের জন্য আবাস সমীক্ষার কাজ চলছে। তিন স্তরে এই সমীক্ষার জন্য সরকারি আধিকারিকদের একটি অ্যাপের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হচ্ছে। কিন্তু সেই অ্যাপে গোলযোগের মাশুল দিতে এক বার সমীক্ষার পর ফের একই গ্রামে গিয়ে দ্বিতীয় বার সমীক্ষা করতে হচ্ছে আধিকারিকদের।

Advertisement

নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীন এলাকায় পাকা বাড়ির জন্য জেলার ১৮৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট এক লক্ষ ৮০ হাজার ৬৫৭টি আবেদন জমা পড়েছে। মোট ৭০১টি সমীক্ষক দল সেই সব আবেদন যাচাইয়ের জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। প্রথম পর্বে আবেদন বাতিল হলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের সমীক্ষায় তা আবার যাচাই করে দেখছেন প্রশাসনের কর্তারা। আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্বে গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লক স্তরে আবেদনকারীদের তালিকা ধরে তাঁদের বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ করা হচ্ছে। তা শেষ হলে দ্বিতীয় বার সমীক্ষার কাজ করছেন অন্য দফতরের আধিকারিকেরা। প্রথম পর্বের কাজ ঠিক হয়েছে কি না, আবেদনকারী সরকারি আবাস পাওয়ার যোগ্য কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এই কাজের জন্য খাদ্য, তথ্য ও সংস্কৃতি, প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের মতো বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নামানো হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের সমীক্ষায় 'জিও ট্যাগ' পদ্ধতিতে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আবেদনকারীর বর্তমান ঘরের অবস্থা ও যে জায়গায় তিনি প্রকল্পের ঘর তৈরি করতে চান সেই জায়গার ছবি আপলোড করতে হচ্ছে আধিকারিকদের। আগের সমীক্ষা 'ঠিক' ছিল না 'ভুল', সে সম্পর্কে মন্তব্য করার সুযোগও থাকছে ওই অ্যাপে। নিয়ম অনুযায়ী, গোটা প্রক্রিয়া সেরে ‘সাবমিট’ করা হলে বিডিও-র কাছে বা জেলাস্তরে ‘অটোমেটিক রিপোর্ট’ পৌঁছে যাওয়ার কথা। অর্থাৎ কোন আধিকারিক কত গ্রামে কতগুলো বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা করেছেন তা সহজেই ওই অ্যাপের মাধ্যমেই জেলা হয়ে রাজ্য স্তরে পৌঁছে যাবে।

কিন্তু সমীক্ষার কাজে যুক্ত আধিকারিকদের অনেকেরই অভিযোগ, গ্রামে-গ্রামে সমীক্ষা করে অ্যাপে আপলোড করার ‘সিস্টেম’ দেখাচ্ছে, সেই কাজ হয়নি। রানাঘাট-২ বিডিও শুভজিৎ জানা বলেন, "অ্যাপের এই সমস্যার কারণে অনেক আধিকারিককে একই সমীক্ষার কাজ দু’বার করতে হচ্ছে। এই সমস্যার কথা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।" তবে নদিয়া জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, "অ্যাপের সমস্যার কারণে উপভোক্তাদের সমস্যায় পড়তে হবে, এমনটা নয়। অ্যাপের পাশাপাশি প্রশাসনিক ভাবেও বিষয়টির প্রতি নজর রয়েছে।"

আরও পড়ুন
Advertisement