Satyen Chowdhury Murder

সত্যেন খুনের প্রতিবাদে পথে নামল কংগ্রেস

মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা ভিন রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৪
দিনে দুপুরে খুনের প্রতিবাদে বহরমপুর শ্রীগুরু পাঠশালা স্কুলের মোড়ে কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা।

দিনে দুপুরে খুনের প্রতিবাদে বহরমপুর শ্রীগুরু পাঠশালা স্কুলের মোড়ে কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা।  ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

পাঁচ দিন আগে খুন হয়েছেন একদা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী। পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার দাবি জানালেও আজও তারা অধরা। যার জেরে খুনিদের নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে বহরমপুর শহরে। এই আবহে বহরমপুর শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে পথে নামল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের চালতিয়ায় শ্রীগুরু পাঠশালা মোড়ে সত্যেন চৌধুরীর বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে পথসভা করল কংগ্রেস। জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা কংগ্রেসের জেলার সহ সভাপতি শিলাদিত্য হালদার, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বহরমপুর শহর কংগ্রেসের সভাপতি অরিন্দম দাস সেই সভায় বক্তব্য রেখেছেন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন পর এমন খুনের ঘটনা ঘটল বহরমপুরে। খুনের পাঁচ দিন পরেও খুনিরা অধরা। শাসকদল তৃণমূল এ বিষয়ে নীরব। তবে কী পুলিশ প্রশাসন কিছু ধামাচাপা দিচ্ছে? জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূল সরব না নীরব তা কংগ্রেসকে দেখতে হবে না।’’

Advertisement

মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা ভিন রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। তবে তাদের কাছে পৌঁছনোর জন্য সব রকমের চেষ্টা চলছে, শীঘ্রই প্রকৃত খুনিরা ধরা পড়বে পুলিশের জালে।

জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি শিলাদিত্য হালদার বলেন, ‘‘ভরদুপুরে খুন হলেন সত্যেন চৌধুরী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলে এমনটা হয় তা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে। তাই আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, বহরমপুরে শান্তি স্থাপন করা, খুন আটকানো, সত্যেন চৌধুরীর খুনিদের গ্রেফতার করা সহ একাধিক দাবিতে আমরা এদিন চালতিয়ায় পথসভা করেছি।’’

বহরমপুরের চালতিয়ার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী খুন হয়েছেন। তার পরে শাসকদলের নেতারা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতাল এবং সত্যেন চৌধুরীর বাড়ি গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তবে এর বেশি উচ্চবাচ্য করতে তৃণমূল নেতাদের দেখা যায়নি।

তৃণমূল অবশ্য জানিয়েছে, সত্যেন চৌধুরী তৃণমূল করতেন। তিনি অন্য দলে যাননি ঠিকই। তবে বছর তিনেক থেকে দলে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। প্রশাসনের প্রতি তাঁদের ভরসা রয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূল কী করছে তা বিরোধীদের দেখতে হবে না। কারা মার্ডার সিন্ডিকেট চালাত, কারা কন্ট্রাক্ট কিলার আনত তা বহরমপুরের মানুষ জানেন। সেই ঘটনা আমরা আর হতে দেব না। পুলিশ নিশ্চিত ভাবে খুনিদের গ্রেফতার করবে।’’

তাঁর দাবি, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে কংগ্রেস। আর সেই খুনিরাই আজ পথে নেমেছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement