West Bengal Panchayat Election 2023

‘একটা আসন হারলে তো মুখ্যমন্ত্রিত্ব যেত না’! নিহত কর্মীর বাড়ি থেকে মমতাকে খোঁচা অধীরের

ওদা থানার মধুপুর পঞ্চায়েতের গঙ্গাধরী গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় হাজি লিয়াকত আলির (৬২)। রবিবার নিহত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে যান অধীর চৌধুরী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৩ ১৭:৫৪
নিহতের পরিবারের সদস্যকে (ডান দিকে) সান্ত্বনা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (বাম দিকে)।

নিহতের পরিবারের সদস্যকে (ডান দিকে) সান্ত্বনা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (বাম দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েতে ভোটে হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পঞ্চায়েত ভোটে সংঘর্ষে নিহত কংগ্রেস কর্মীর পরিজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে একযোগে নিশানা করেন অধীর। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘একটা সিটে হারলেও আপনার মুখ্যমন্ত্রিত্ব যেত না।’’

শনিবার পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়ে অশান্তির ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ৩৭ জনের। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই সংখ্যাটা ১০। শনিবার ভোট নিয়ে গন্ডগোলে দুই কংগ্রেস কর্মী প্রাণ হারান। নওদা থানার মধুপুর পঞ্চায়েতের গঙ্গাধরী গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় হাজি লিয়াকত আলি (৬২)-র। রবিবার নিহত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে যান অধীর। তাঁর পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলেন। জানান, তিনি এই ঘটনায় মর্মাহত। এর পর বৃদ্ধের মৃত্যুর জন্য কমিশন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের অস্ত্রোপচার নিয়েও কটাক্ষ করেন। অধীরের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী এত খুন করে আপনি মহান হবেন? কয়েকটা সিটে হারলেও সরকার আপনারই থাকত। তা হলে এত খুন কেন?’’ কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, ‘‘১১ জুলাইয়ের (পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের দিন) পর মুখ্যমন্ত্রীর পা ঠিক হয়ে যাবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে (ভোটে হিংসা) নীরব থাকতেই উনি নাটক করেছেন।’’

Advertisement

ভোটের দিন একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন বৃদ্ধ লিয়াকত। বোমাবাজি শুরু হলে তিনি আহত হন। তড়িঘড়ি ওই কংগ্রেস কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

অধীরের এই আক্রমণ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘সারা রাজ্য তো বটেই, এই জেলাতেও সবচেয়ে বেশি খুন হয়েছেন তৃণমূলের কর্মীরা। সিপিএমের হার্মাদদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস আবার মুর্শিদাবাদে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে। তার পরও হার নিশ্চিত জেনে এ সব নাটক করছেন অধীরবাবু।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement