শ্রুতি দাস। ছবি: ফেসবুক।
পারিবারিক পুজো। তাই চাইলেই বন্ধ করার উপায় নেই। কারণ, সেই পুজোর সঙ্গে বাড়ির প্রত্যেকের অনুভূতি জড়িয়ে। তাই তিনি শ্বশুরবাড়ির পুজোয় যোগ দেবেন। কিন্তু অনুরাগীদের কথা দিয়েছেন, তাই নিজে কিনে নতুন পোশাক পরবেন না। শুক্রবার সমাজমাধ্যমে সে কথা জানিয়ে কটাক্ষের শিকার অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। যার জেরে নিজের পোস্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হলেন তিনি।
এ বছরের পুজো অন্য রকম। আরজি কর-কাণ্ডের রেশ কাটেনি এখনও। উৎসবে মন নেই শহরবাসীর। এর আগে বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামীদের তরফে উদ্যাপনে যোগ না দেওয়ার আর্জি এলেও বাড়ির পুজো বন্ধ রাখছেন না কেউই। কোয়েল মল্লিক, সুদীপা চট্টোপাধ্যায় শোভাবাজার রাজবাড়ি হয়ে শহরের সমস্ত বনেদি বাড়িতে রীতি মেনে আড়ম্বরহীন পুজো হচ্ছে। তা হলে শ্রুতির বাড়িতে পুজো হলে বা সে কথা জানালে সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর অনুরাগীরা।
পোস্টে শ্রুতি আরও লিখেছিলেন, এ ভাবেই তিনি প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কেন তিনি পোস্ট মুছলেন? জানতে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। শ্রুতি এক বার্তায় লিখে জানিয়েছেন, তাঁর মনে হয়েছে, পোস্টটি না রাখাই উচিত। তিনি আর নতুন করে বিতর্ক তৈরি করতে চান না। এর বেশি আর কিছুই জানাতে চাননি তিনি।
শ্রুতি কিছু না বললেও তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট আভাস, সম্ভবত পোস্ট ঘিরে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁর এই ধারণার স্বপক্ষে যুক্তিও রয়েছে। অভিনেত্রী তাঁর বক্তব্য মুছলেও জনৈক নেটাগরিক তাঁর পোস্টের ছবি নিয়ে রেখেছিলেন। তিনি সেই ছবি ভাগ করে নিয়ে বিদ্রুপ করে লিখেছেন, “এমনিতে ওঁর অশৌচ ছিল। তবে উনি কিন্তু মানবিক, কেবল শ্বশুরবাড়ির পুজোটুকু করতেই হয় তাই করছেন। আপনাদের যাঁদের শ্বশুরবাড়ির পুজো করার ক্ষমতা নেই তাঁরা প্লিজ অশৌচ পালন করুন। উনি উস্কে দিয়ে আনন্দ করবেন। তবে উনি অবশ্যই একটাও সুতো কিনবেন না। শুধু পাওনা পরে কাটাবেন, ওঁকে উপহার দিতে পারেন।” শেষে তিনি এ-ও জানান, নির্যাতনে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের জন্য অশৌচ পালনের হিড়িক শ্রুতিই তুলেছিলেন প্রথম।