জইদুর রহমান। —ফাইল চিত্র।
শমসেরগঞ্জ নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে লড়াইয়ে নামবেন। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার সাফ জানালেন দলের প্রার্থী জইদুর রহমান স্বয়ং। ওই বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই বেঁকে বসেছিলেন জইদুর। জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত কারণে লড়াইতে থাকতে চান না। অবশেষে নিজের সেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন জইদুর।
ভবানীপুরের উপনির্বাচনের পাশাপাশি জঙ্গিপুর এবং শমশেরগঞ্জেও আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন। তবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই জইদুর জানিয়েছিলেন, পারিবারিক এবং ব্যবসায়িক কারণে নির্বাচনে লড়বেন না তিনি। এ ছাড়া, তাঁর দাদা খলিলুর রহমান জঙ্গিপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের সাংসদ তথা দলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। সে কারণেও তিনি নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে চান বলেও জানিয়েছিলেন জইদুর। এমনকি, কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বুধবার পর্যন্ত নিজের সেই সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তিনি। জইদুরের সেই ঘোষণায় কার্যত সঙ্কটে পড়ে কংগ্রেস। শনিবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিওবার্তায় শমসেরগঞ্জ নিয়ে যাবতীয় জল্পনার অবসান করেন জইদুর। তাঁর দাবি, ‘‘যে ভাবে সাধারণ মানুষ আমাকে ফোন করে অনুরোধ করছেন, এমনকি কান্নাকাটিও করছেন, তাতে সিদ্ধান্ত বদল করলাম।’’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে শমসেরগঞ্জ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের মৃত্যুর কারণে এই কেন্দ্রে ভোট পিছিয়ে যায়। তার পর জইদুরকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। প্রার্থী হওয়ার পর প্রচারও শুরু করেছিলেন জইদুর। এর পর ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিনেই শমসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোটের ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তখনই বেঁকে বসেন জইদুর। কংগ্রেস সূত্রের খবর, জইদুরের মন পেতে একাধিক বার তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছে কংগ্রেস। অবশেষে তাঁর সিদ্ধান্ত বদলে কার্যত খুশির হাওয়া কংগ্রেস শিবিরে।