কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। নিজস্ব চিত্র।
বদলে গিয়েছে রং। পতাকাও পাল্টে গিয়েছে। তবে সবটা মুছে ফেলা যায়নি। পার্টি অফিসের মূল ফটকে সবুজ রঙে জাতীয় কংগ্রেস কার্যালয় লেখা হলেও ঠিক তার পাশের ফলক বলছে অন্য কথা। সেখানে পার্টি অফিসের উদ্বোধক ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা তথা প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী নরেন দের নাম জ্বলজ্বল করছে। রাতারাতি রংবদল হলেও সবুজের নীচে উঁকি দিচ্ছে লাল কালিতে লেখা ‘চাপড়া ফরওয়ার্ড ব্লক পার্টি অফিস’!
কংগ্রেস সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে নদিয়ার চাপড়ায় জনসভা করতে আসছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর হাত ধরে চাপড়ায় ফরওয়ার্ড ব্লকের হাজার তিনেক কর্মী-সমর্থকের হাত শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা। ফরওয়ার্ড ব্লকের সেই দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য কমিটির তিন সদস্য, নদিয়া জেলা সভাপতি, ১৩ টি অঞ্চলের নেতৃত্বও। সেই কারণেই ফরওয়ার্ড ব্লকের পার্টি অফিস রাতারাতি কংগ্রেসের পার্টি অফিসে বদলে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘‘বাম-কংগ্রেস নিজেদের ঘর ভাঙতেই ব্যস্ত। ঘর গোছাবে কবে? এরা নাকি আবার পঞ্চায়েতে একসঙ্গে লড়বে!’’
পাল্টা কংগ্রেসের বক্তব্য, চাপড়ায় ফরওয়ার্ড ব্লকের সমস্ত কর্মী-সমর্থকেরা যদি দলই ছেড়ে দেন, তা হলে পার্টি অফিস রেখে কী হবে! নদিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহা বলেন, ‘‘চাপড়া ব্লকের সমস্ত কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। তাই তাঁদের কার্যালয় তাঁরা কী করবেন, তাঁদেরই ব্যাপার।’’ দলত্যাগী নদিয়া জেলা ফরওয়ার্ড ব্লকের সভাপতি মনিরুল হক বলেন, ‘‘আমরা সবাই তো কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি। তাই পার্টি অফিসের এই রংবদল। পার্টি অফিসটা আমাদের, তাই সেখানে কংগ্রেস কার্যালয় হলে কী সমস্যা, বুঝতে পারছি না।’’