BSF

গরু পাচার রুখতে গিয়ে সংঘর্ষ, বিএসএফের সঙ্গে বোমা-গুলির লড়াইয়ে জলঙ্গিতে নিহত এক

বিএসএফ সূত্রে খবর, বোমা-গুলির লড়াইয়ে এক জনের প্রাণ গিয়েছে। মৃতের নাম মমিনুল ইসলাম (৩৫)। তাঁর বাড়ি জলঙ্গিতেই। সোমবার দেহটি জলঙ্গি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জলঙ্গি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৪:১০

—প্রতীকী ছবি।

গরু পাচার রুখতে গিয়ে ‘পাচারকারী’দের সঙ্গে বিএসএফের (সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী) বোমা-গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি। রবিবার গভীর রাতে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। বিএসএফ সূত্রে খবর, বোমা-গুলির লড়াইয়ে এক জনের প্রাণ গিয়েছে। মৃতের নাম মমিনুল ইসলাম (৩৫)। তাঁর বাড়ি জলঙ্গিতেই। সোমবার দেহটি জলঙ্গি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, জলঙ্গি থানা এলাকার অন্তর্গত সীমান্ত ঘেঁষা সরকারপাড়ায় গভীর রাতে ব্যাপক বোমাবাজির শব্দ শোনা যায়। পরে জানা যায়, বিএসএফের সঙ্গে পাচারকারীদের বোমা-গুলির লড়াই হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, কাঁটাতার টোপকে বেশ কয়েক জন পাচারকারী বাংলাদেশে গরু পাচারের চেষ্টা করছিলেন। টহলরত জওয়ানরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পাচারকারীরা বোমা ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ। বিএসএফ জানিয়েছে, প্রথমে রবার বুলেট ছুড়ে পাচারকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানেরা। সেই সংঘর্ষেই মমিনুলের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। সকালে তাঁর দেহ সাধিখারদিয়ার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

মৃতের পরিবার জানিয়েছে, সোমবার সকালে পুলিশই মমিনুলের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরিবারের দাবি, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ভিন্‌‌রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন মমিনুল। ইদের ছুটিতে বাড়ি এসে স্থানীয় এক পাচারকারীর ইন্ধনে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পৌঁছে দেওয়ার কাজে লাগেন তিনি। গত দু’দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। ফোনে বার বার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। মমিনুলের স্ত্রী মিনা বিবি বলেন, ‘‘গরু পাচারে রাখালের কাজ করার জন্য আমার স্বামীকে নিয়ে গিয়েছিল ওরা। সকালে পুলিশ মারফত খবর পাই, বিএসএফের গুলিতে মারা গিয়েছে ও।’’

আরও পড়ুন
Advertisement