লকআপে মৃত্যু তদন্তে সিআইডি

পুলিশকর্মী, সিভিককে জিজ্ঞাসাবাদ

সিআইডির একটি সূত্রে দাবি, ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পেরেছে, পুলিশ লকআপে যে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে অন্যায় ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:২৪
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পুলিশ লকআপে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিআইডি।

Advertisement

নবগ্রাম থানার এক এএসআই, কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বহরমপুরে সিআইডি অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিআইডির আধিকারিকেরা।
সূত্রের খবর, রবিবার নবগ্রাম থানার কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে মোট পাঁচ জনকে বহরমপুরে গোপালঘাটের কাছে সিআইডির অফিসে ডাকা হয়। পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিআইডির ডিএসপি শিমুল সরকার-সহ কয়েক জন আধিকারিক তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আজ সোমবার ফের আরও কয়েক জন কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে সিআইডি তাদের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। এ দিন সিআইডির এক আধিকারিক জানান, এ দিন ডাকা পাঁচ জনকে ধরে মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে এএসআই, কনস্টেবল, সিভিক
ভলান্টিয়ার রয়েছেন।

সিআইডির একটি সূত্রে দাবি, ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পেরেছে, পুলিশ লকআপে যে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে অন্যায় ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে নবগ্রাম থানার তৎকালীন ওসি অমিত ভকত এবং তদন্তকারী আধিকারিক (আইও) শ্যামল মণ্ডলকে সিআইডির মালদহ অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অভিযোগ, গত ২ অগস্ট চুরির অভিযোগে নবগ্রাম থানার পুলিশ ওই থানার সিঙ্গার গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ ঘোষকে (২৯) থানায় তুলে আনে। দু’দিন আটকে রাখার পরে ৪ অগস্ট সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। গোবিন্দের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওইদিন সন্ধ্যায় অনেক রাত পর্যন্ত সাধারণ মানুষ নবগ্রাম থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। উত্তেজিত জনতাকে সরাতে পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগে গোবিন্দকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশের দাবি ছিল, গোবিন্দ শৌচালয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পরে নবগ্রামের তদানীন্তন ওসি এবং তদন্তকারী আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। এ ছাড়া, মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। তারপরে সিআইডি থানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। সেই সঙ্গে এই মামলায় ইতিমধ্যে সিআইডি ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement