Car Accident

তৃণমূল সাংসদের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু শিশুর, নওদায় রাস্তা ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নওদা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৫১
তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, তাঁর গাড়ির চালকের কিছু করার ছিল না।

তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, তাঁর গাড়ির চালকের কিছু করার ছিল না। —ফাইল চিত্র।

মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক শিশুর। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের নওদায়। রাস্তা অবরোধ করে প্রবল বিক্ষোভ শুরু করেছেন স্থানীয়রা। অন্য দিকে, তৃণমূল সাংসদের যুক্তি, ‘‘গাড়ি চালকের কিছু করার ছিল না। শিশুটি হঠাৎ গাড়ির সামনে চলে এসেছে।’’

সূত্রের খবর, সাংসদ আবু তাহের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব গাড়ি করে বহরমপুরের দিকে আসছিলেন। নওদা পিপড়েখালি এলাকায় একটি বাচ্চা ছুটে রাস্তা পার হওয়ার সময় সাংসদের গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে। ৬-৭ বছর বয়সি ওই শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়তে দেখে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।

Advertisement

সাংসদ নিজের গাড়িতেই আহত শিশু ও তাঁর মাকে তুলে নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। শিশুটির চিকিৎসার সময় তিনি নিজেও হাসপাতালে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে পরে শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশুটির বাড়ি নওদা ব্লকে। নাম হাসিম সরকার।

সাংসদ বলছেন, “হঠাৎ করে বাচ্চাটি তাঁর গাড়ির সামনে চলে আসে। চালকের তখন কিছু করার ছিল না।” তিনি বলেন, ‘‘শিশুটির সঙ্গে পরিবারের কেউ ছিল না। দুর্ঘটনার পরে আশপাশ থেকে প্রায় ৫০ জন লোক চলে এলেও শিশুটির পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।’’

অন্য দিকে, মৃতের পরিবারের অভিযোগ ভিন্ন। শিশুটির বাবা হামিদুল সরকারের অভিযোগ, ‘‘সাংসদের গাড়ি প্রচণ্ড গতিতে চলছিল। তাই চালক গাড়ি থামাতে পারেননি। তাই ছেলেকে হারালাম।’’ আমিনা বিবি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীও বলেন,‘‘গাড়িটা খুব জোরে আসছিল। বাচ্চাটি রাস্তা পেরোতে যাচ্ছিল। কিন্তু গতি বেশি থাকায় গাড়িটি থামাতে পারেননি চালক। পরে দেখলাম ওটা এমপি সাহেবের গাড়ি।’’ যদিও দ্রুতগতির জেরে এই দুর্ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সাংসদ।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটির সিটি স্ক্যান করা হয়। সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে দেখা যায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে সে। তা ছাড়া রক্তক্ষরণও হয়েছে। চিকিৎসকদের সব রকম চেষ্টা সত্ত্বেও বিকেল ৫টা ১০মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় শিশুটির।

আরও পড়ুন
Advertisement