Job

Job: আবেদন জমা দিতে ধুন্ধুমার

শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর স্টেডিয়ামে। লাঠি চার্জের অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছে পুলিশ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৩৩
আবেদনপত্র জমা দিতে ভিড়ে উপচে পড়ল রাস্তা। বহরমপুরে।

আবেদনপত্র জমা দিতে ভিড়ে উপচে পড়ল রাস্তা। বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র।

একটি বেসরকারি সংস্থায় দক্ষ কর্মী হিসেবে চাকরির সুযোগ নিতে আবেদনপত্র জমা দিতে এসে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটল বহরমপুর স্টেডিয়ামে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে একসময় পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হয়। পুলিশের লাঠির আঘাতে হাত পায়ে চোট পান একাধিক ব্যক্তি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর স্টেডিয়ামে। লাঠি চার্জের অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছে পুলিশ। কেউ গুরুতর আহত হননি বলে জানান তাঁরা।

বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার বর্তমানে মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। সেই উদ্যোগেই জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বেসরকারি সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি মতো জেলার ১২০০ যুবককে চাকরির দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রতিমন্ত্রী হুমায়ুন দাবি আবেদনকারীদের। তবে এই চাকরির আবেদন পত্র জমা দেওয়ার জন্য কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে বলে উপস্থিত আবেদনকারীরা জানান। একটি অডিয়োতে মন্ত্রীর স্বকন্ঠে এই সংস্থায় চাকরির সুযোগ দেওয়ার কথা প্রচার হয়েছিল বলেও দাবি, তবে সেই অডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার খতিয়ে দেখেনি।

Advertisement

নওদার উচ্চমাধ্যমিক পাশ যুবক দিলওয়ার হোসেন মন্ডল বলেন “পাড়ায় শুনেছিলাম চাকরির জন্য স্টেডিয়ামে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু আবেদন পত্র জমা দিলেও কি চাকরি কোথায় চাকরি কিছুই বুঝতে পারছি না। শুধু দেখলাম ফর্মটা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হল। নথিগুলো আলাদা করে রেখে দিল।” তবে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা হয়নি বলে দাবি করেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি আবু বাক্কার। আবেদন পত্র অনুযায়ী আবেদনকারীরা সকলেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন এ দিন। তবে বাক্কার বলেন, “আমরা কাউকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিইনি।” ভিড় এড়াতেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এখানে এত লোক হবে বোঝা যায়নি। এই সংস্থায় চাকরির জন্য আইটিআই ও পলিটেকনিক পাশ ছেলেমেয়ের দরকার। কিন্তু এইট পাশ ছেলেরাও চাকরি করতে চায়। তাদের কর্মসংস্থান করতে এই উদ্যোগ। এদের ৪৫ দিনের বিনা পয়সায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। থাকা খাওয়ার জন্য কোনও খরচ নেই। ওই সংস্থার শ্রীরামপুরে এক সঙ্গে তিনশো জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব। অল্প সময়ে এত জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সংস্থার অন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানোর আবেদন করেছি। শনিবার ১৯ হাজার ৩৩২ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement