Migratory Bird Census

কমেছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা, বলছে শুমারি

চাকদহ ব্লকের চান্দুরিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দনগর, গৌরনগর ঘাট এলাকায় মূলত পাখিদের দেখতে পাওয়া যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন। এ ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন খাল-বিলে পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
চাকদহ  শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৪৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

শীতের সময়ে ভাগীরথী নদীর পাড়ে পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেল। তাদের দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন ভিড় করেন প্রতি বছর। এবারেও পাখিপ্রেমীরা চাকদহ থানা এলাকার খাল-বিল চত্বরে পাখি দেখার নেশায় এসেছেন। কিন্তু অন্য বছরের মতো এই বছরে পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। পাখিপ্রেমীদের দাবি, এ বার সংখ্যায় অনেক কম পরিযায়ী পাখি এসেছে এলাকায়। এমনকি, বন দফতরের পাখি শুমারিতেও একই তথ্য ধরা পড়েছে। চাকদহ ব্লকের চান্দুরিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দনগর, গৌরনগর ঘাট এলাকায় মূলত পাখিদের দেখতে পাওয়া যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন। এ ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন খাল-বিলে পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলে। এই বছর জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে বন দফতরের উদ্যোগে পাখি শুমারি করা হয়েছিল। রানাঘাটের বন দফতরের আধিকারিকেরা এই কাজ করেছেন। ঘটনার সময়ে তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চাকদহ বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মীরাও। রানাঘাটের বন আধিকারিক গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, ‘‘জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন জায়গায় পাখি শুমারি হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় পাখিদের দেখা মিললেও এখনও সে ভাবে পরিযায়ী পাখি আসেনি। অন্য বারের তুলনায় কম এসেছে।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘আবহাওয়া পরিবর্তন, অসুরক্ষিত পরিবেশ, জিন সংক্রান্ত, স্বভাব পরিবর্তন-সহ বিভিন্ন কারণে এটা হতে পারে।’’

Advertisement

শনিবার গৌরনগর এলাকায় স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আগে অনেক পাখি দেখতে পাওয়া যেত। এখন কমেছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement