CBI: দিলীপ খুনের তদন্তে সিবিআই

নিহতের পরিবারের তরফে তাঁদের পড়শি তথা রাউতাড়ি অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি দুলাল মণ্ডল-সহ ন'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৫১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সপ্তাহ খানেক আগে বিধানসভা ভোটের সময় নিহত চাকদহের দিলীপ কীর্তনিয়ার বাড়িতে তদন্তে গিয়েছিল সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার কল্যাণী কোর্টে ওই বিষয়েই ফের উপস্থিত হন সিবিআইয়ের এক প্রতিনিধি। কল্যাণী কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ কীর্তনিয়া খুনের ঘটনায় ধৃত দু’জনকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআই মঙ্গলবার কল্যাণী কোর্টের অ্যাডিশন্যাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনুপম সরকারের কাছে আবেদন করেছে। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সিবিআইয়ের ওই প্রতিনিধি কোর্টকে জানিয়েছেন, এই মামলার তদন্তভার তাঁরা নিয়েছেন।

চাকদহ ব্লকের রাউতাড়ি পঞ্চায়েতের উত্তর এনায়েতপুরের বাসিন্দা দিলীপকে গত ১৮ এপ্রিল ভোটের দিন সকালে বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। এর প্রতিবাদে রেল-রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। রাজনৈতিক হিংসা এই খুনের কারণ বলে অভিযোগ উঠেছিল। নিহতের পরিবারের তরফে তাঁদের পড়শি তথা রাউতাড়ি অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি দুলাল মণ্ডল-সহ ন'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল।

Advertisement

এদের মধ্যে গৌরব বিশ্বাস এবং অভিজিৎ দত্ত নামে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক। পুলিশের দাবি, বাকি অভিযুক্তদের বাড়িতে কয়েক বার হানা দিয়েও পাওয়া যায়নি। ধৃত অভিজিৎ দত্তের আইনজীবী কুণাল শঙ্কর দাস বলেন, “আমি আশাবাদী প্রকৃত তদন্তে এ বার প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে। আমার মক্কেল নির্দোষ।”

মঙ্গলবারই রানাঘাট উপ-সংশোধানাগারে যায় সিবিআইয়ের তিন জনের এক প্রতিনিধি দল। গাংনাপুরে বিজেপি কর্মী উত্তম ঘোষ খুনের ঘটনায় তারা সেখানে ধৃত পাঁচ জনকে প্রায় ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রানাঘাট আদালতের নির্দেশে জেরা করার সময় ধৃতদের আইনজীবী বাসুদেব মুখোপাধ্যায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

গত ২ মে বিধানসভার ভোট গণনার দিন রাতে গাংনাপুরের বিবেকানন্দপল্লিতে বাড়ির পাশে উত্তম ঘোষ খুন হয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পুলিশ আট জনের নামে চার্জশিট দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ধনঞ্জয় মণ্ডল, গোপাল ছেত্রী, সোমনাথ দত্ত(বুড়ো),শ্যামল বিশ্বাস এবং সুখদেব বিশ্বাস গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁরা ওই সংশোধানাগারে রয়েছেন। বাকি তিন জন পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়েছে।

চাপড়ার হৃদয়পুরে বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল(৫৬) খুনের ঘটনায় কৃষ্ণনগর আদালতে আত্মসমর্পণ করা সাত জনের মধ্যে দু’জনকে মঙ্গলবার নিজেদের হেফাজতে নিল সিবিআই। বিধানসভা ভোটের পর খুন হন ধর্ম মণ্ডল। সেই ঘটনায় আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ তাদের সকলকেই গ্রেফতার করে। পরে নিহতের পরিবারের গোপন জবানবন্দিতে আরও ১৫ জনের নাম উঠে আসে।

সিবিআই তদন্তে নেমে তাঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করে। পর দিনই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কালু শেখ ও পঞ্চায়েতের কর্মী বিভাস বিশ্বাস কৃষ্ণনগর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আরও পাঁচ জন আত্মসর্পণ করে। মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের স্বার্থে কৃষ্ণনগর আদালতে এই দু’জনকে ছ’দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করে। বিচারক তাদেরকে তিন দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান অভিযুক্তদের আইনজীবী তামিজউদ্দিন শেখ।

আরও পড়ুন
Advertisement