WB panchayat Election 2023

গাড়ির অভাবেই এক সঙ্গে তিন দল

সেখানেই তৃণমূলের দাবি, অনেক আগে থেকেই কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগ তোলা হয়েছিল, রানিনগরে বিরোধীদের মুখোশ খুলে গিয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ০৮:০৫
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP

রানিনগরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার কংগ্রেস, সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপিকেও এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল মিছিলে। একই টোটোতে দেখা গিয়েছে তিন দলের পতাকা। আর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জেলায়। এই ছবি নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে।

সেখানেই তৃণমূলের দাবি, অনেক আগে থেকেই কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগ তোলা হয়েছিল, রানিনগরে বিরোধীদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। যার প্রতিবাদ করেছেন বিরোধীরা।

Advertisement

সিপিএম নেতা জামির মোল্লার দাবি, "পথ চলতি গাড়িতে ওঠার অধিকার সকলের রয়েছে। যদিও ওই গাড়িতে তৃণমূল থাকলে হয়ত বিরোধীদের উঠতে দিত না। আর বিজেপির জন্য আলাদা ব্লক অফিস নেই, ফলে সেই গাড়িতে এসে একই জায়গায় পৌঁছেছে সকলে। এর মধ্যে অন্যায় কিছু নেই। মানুষ বুঝে গিয়েছেন, তৃণমূল আর বিজেপির অন্তরের বোঝাপড়া। ফলে এ সব নাটক করে কোন লাভ হবে না।"

বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলছেন, "শাখারভ সরকার, জামির মোল্লা, অধীর চৌধুরী, শাওনি সিংহ রায় যদি ভাগীরথী এক্সপ্রেসের এক কামরায় ওঠেন, তা হলে কি জোট হয়ে যাবে। পথ চলতি টোটোতে ব্লক অফিসে গিয়েছেন সব রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। আর তাঁদের হাতে ছিল দলের পতাকা। এটাই মঙ্গলবারের ঘটনা। তৃণমূল যে নাটকই করুক, সাধারণ মানুষ এবার আর তাদের রেহাই দেবে না।"

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, "যখন বন্যা আসে খড়কুটোর সঙ্গে সাপ, ব্যাঙ, গরু, ছাগল এক জায়গায় চলে আসে। অত্যাচারের বন্যায়, সন্ত্রাসের বন্যায় বাঁচার জন্য এক হচ্ছেন মানুষ। এটা অদ্ভুত ব্যাপার, এটা হচ্ছে। বন্যায় সাপ, ব্যাঙ, গরু, ছাগল এক জায়গায় হয়। কেউ কাউকে কামড়ায় না। কেউ কাউকে আঘাত করে না। সন্ত্রাস আজকে সেই জায়গায় পৌঁছিয়েছে। সন্ত্রাস কাউকে খাতির করেনি। তাই সবাই এক হওয়ার চেষ্টা করছেন।"

অন্য দিকে ব্লক তৃণমূলের নেতা, শাহ আলম সরকার বলছেন, ‘‘কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে যে বিজেপির তলায় তলায় বন্ধুত্ব রয়েছে, সে কথা আমরা অনেক আগে থেকেই বলেছিলাম। কিছু দিন আগে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রানিনগরের সভাতে এসেও সেই অভিযোগ করেছিলেন। আর এবার সেটা একেবারে খাতায়-কলমে প্রমাণ হয়ে গেল।"

মনোনয়নের মাস চারেক আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে রানিনগর। কখনও মারধর করা হয়েছে বিরোধীদের, কখনও আবার ভাঙচুর চালানো হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে। রানিনগর ২ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মমতাজ বেগম ওরফে হীরা বলেন, "গর্জন অনেক ছিল কিন্তু বর্ষণ হয়নি। রবিবার অধীর চৌধুরীর সভার পরেই চুপসে গিয়েছে রানিনগরের কেষ্ট (শাহ আলম সরকার)।" আমরা সিপিএম এবং কংগ্রেস এক সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েই মনোনয়নপত্র জমা করেছি।"

তা হলে আপনাদের সঙ্গে বিজেপি এল কী করে? এই প্রশ্নের উত্তরে হীরার দাবি,"পথ চলতি গাড়িতে ভাড়া দিয়ে উঠেছিলেন সব দলের কর্মীরা। আমরা তো কাউকে ওই গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে পারি না।"

আরও পড়ুন
Advertisement