BSF

মাথায় গুলি, মৃত সেনাকর্মী

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) ৮৪ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন সঞ্জয়। মঙ্গলবার রাত ২টো থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সীমান্তে ডিউটি ছিল তাঁর।

Advertisement
সাগর হালদার  
তেহট্ট শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০৯
নিহত জওয়ান। নিজস্ব চিত্র

নিহত জওয়ান। নিজস্ব চিত্র

কর্তব্যরত অবস্থায় মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হল বিএসএফের এক জওয়ানের। বিএসএফ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সঞ্জয়কুমার পটেল নামে ওই জওয়ান নিজের কাছে থাকা ইনসাস রাইফেলে আত্মঘাতী হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নদিয়ার তেহট্টের নফরচন্দ্রপুর সেনা শিবিরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত জওয়ানের বাড়ি গুজরাতের মাহেসানা জেলার বিজয়পুরে।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) ৮৪ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন সঞ্জয়। মঙ্গলবার রাত ২টো থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সীমান্তে ডিউটি ছিল তাঁর। ডিউটি শেষ হওয়ার আগেই আনুমানিক ভোর ৫টা ৪০ নাগাদ নিজেই নিজের মাথায় গুলি চালান ওই জওয়ান। সহকর্মীরা তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

সঞ্জয়ের আত্মহত্যার কথা জানিয়েছেন বিএসএফের ৮৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডার যোগেশ পাঠক। তবে ঠিক কী কারণে তিনি এই পথ বেছে নিলেন, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁর সহকর্মীরাও এ ব্যাপারে বিশেষ কিছু জানাতে পারেননি। তাঁদের কথায়, একটু চুপচাপ ধরনের ছিলেন সঞ্জয়। নিজের পরিবারের কথা কখনও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতেন না। তবে ‘ডিউটি’ ঠিকঠাক পালন করতেন। মঙ্গলবার ভোরে অন্যদের সঙ্গে তিনি চা-ও খেয়েছিলেন। তার কিছু ক্ষণ পরেই এই ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের উচ্চ আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। সেটি গুজরাতি ভাষায় লেখা। জানা গিয়েছে, গুজরাতের একটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু সেই টাকা মেটাতে পারছিলেন না।

সাউথ বেঙ্গল বিএসএফ ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক এ কে আচারিয়া বলেন, “ওই সেনাকর্মী ব্যাঙ্ক ঋণের টাকা মেটানো নিয়ে চাপে ছিলেন, সেটা তাঁর সুইসাইড নোট থেকে জানা গিয়েছে। তবে এটাই মৃত্যুর কারণ কি না, তা তদন্তকরা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement