BSF and BGB Meet

রান্না ভারতে, খাওয়া বাংলাদেশে

নদিয়ার মরুটিয়ার থানা এলাকার গান্ধীনা সীমান্তে এমন এক পরিবেশে শীতের দুপুরে বিএসএফ আর বিজিবির মধ্যে হয়ে গেল ম্যারাথন বৈঠক।

Advertisement
সুজাউদ্দিন বিশ্বাস
মুরুটিয়া শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৩৩
বিএসএফ-বিজিবি বৈঠক নদিয়ার সীমান্তে। সীমান্তের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

বিএসএফ-বিজিবি বৈঠক নদিয়ার সীমান্তে। সীমান্তের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

অতিথিদের জন্য যেখানে রান্না চলছে সেটা ভারতের এলাকা। আর যেখানে বসে চলছে বিএসএফ আর বিজিবির মধ্যে আলোচনা সেটা বাংলাদেশে। অতিথিদের চা নাস্তা দিতে বারবার বিএসএফ জওয়ানদের যেতে হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে।

নদিয়ার মরুটিয়ার থানা এলাকার গান্ধীনা সীমান্তে এমন এক পরিবেশে শীতের দুপুরে বিএসএফ আর বিজিবির মধ্যে হয়ে গেল ম্যারাথন বৈঠক। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই বৈঠকে সীমান্তের অনেক সমস্যা নিয়েই আলোচনা হয়েছে দু'পক্ষের মধ্যে। আলোচনায় উঠে এসেছে সীমান্তের কৃষকদের সমস্যা, পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য অন্যান্য সমস্যাগুলির কথা। বিএসএফ ও বিজিবির তরফে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে দুটি দেশের সম্পর্ক খুব বন্ধুত্বপূর্ণ। ফলে আলোচনাও হয়েছে শান্তিপূর্ণ। এ দিন ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের বহরমপুর রেঞ্জের ডিআইজি রাজেশ কুমার মিশ্র। বিজিবির পক্ষে ছিলেন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এমারত হোসাইন। রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘সীমান্তের নানা সমস্যা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে ও চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খুব শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আশা করছি এই আলোচনার পরে সীমান্তের বেশ কিছু সমস্যা মিটে যাবে।’’ একই বক্তব্য ইমারত হোসাইনের গলাতেও। তাঁর দাবি, ‘‘বর্তমানে দু’টি দেশের সম্পর্ক খুব ভাল। এত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খুব কম প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আছে। আমরা চাই এমন আলোচনার মধ্যে দিয়ে সীমান্তের যে সমস্যা আছে তা মিটে যাবে। আজকের আলোচনা খুব সুন্দর হয়েছে, আশা করছি এই আলোচনা ফলপ্রসু হবে।’’

Advertisement

যেখানে এদিনের আলোচনা শিবিরের আয়োজন করেছিল বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে, ঠিক সেখানেই একাত্তরের ভাষা আন্দোলনের পাঁচ জন শহিদের কবর রয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন তৎকালীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জওয়ান। সেই কবরকে ঘিরে ভাষা তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে। ফলে বাংলাদেশ থেকে আসা বিজিবির জওয়ান থেকে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের মনে এ দিনের ওই আলোচনার পাশাপাশি জড়িয়ে ছিল আবেগ। বিএসএফের তরফে বিজিবির কর্তাদের গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় শহীদ তোরণের সামনে। বিএসএফ ও বিজেপির কর্তারা শহিদদের উদ্দেশ্যে মাল্যদানও করেন।

সীমান্তের বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতার থাকলেও বাংলাদেশের দিকে তেমন কিছুই নেই। ফলে কাটাঁতারের ওপারে চাষবাস করতে গিয়ে ভারতীয় চাষিদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটে। আশা করছি এই আলোচনার পরে কিছুটা হলেও সমস্যা মিটবে।

আরও পড়ুন
Advertisement