NEET

NEET: বাবা সাইকেলে ফেরি করেন জামাকাপড়, ছেলে পেল ডাক্তারি পড়ার সুযোগ, উৎসব সমশেরগঞ্জে

সাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে কাপড় ফেরি করে বেড়ান মুর্শিদাবাদ জেলার সমশেরগঞ্জের যাদবনগরের বাসিন্দা বাণী ইসরাইল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
সমশেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৫৮

নিজস্ব চিত্র

দারিদ্র্যের বাধা কাটিয়ে মেধার জোরে সুযোগ পেল ডাক্তারি পড়ায়। ফল শুনে কেঁদে ফেললেন বাবা। বাবা বলেছিলেন, ‘‘তোমাদের জন্য যতটা কষ্ট করতে হয়, ততটা করব।’’ কথা রাখল ছেলেও।

সাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে জামাকাপড় ফেরি করে বিক্রি করেন মুর্শিদাবাদ জেলার সমশেরগঞ্জের যাদবনগরের বাসিন্দা বাণী ইসরাইল। তাঁর বড় ছেলে শাহিদ আনোয়ার ডাক্তারির ছাত্র, ভেবেছিলেন অন্য জনকেও ডাক্তারি পড়াবেন। সেই স্বপ্নই সফল হল। মেজো ছেলে সোহেল আনোয়ারও এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেল। বুধবার প্রকাশিত অভিন্ন জয়েন্ট (নিট) পরীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছে, সারা ভারতে ডাক্তারির প্রবেশিকায় সোহেলের র‌্যাঙ্ক রয়েছে ১২ হাজার ৫৫০। প্রাপ্ত নম্বর ৬১৬। দুই ভাইয়ের সাফল্যে খুশির জোয়ার যাদবনগরের গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে।

Advertisement

সোহেলের কথায়, ‘‘আমি খুব খুশি। পড়াশোনার ফল পেয়েছি। ভাল লাগছে। আমি গ্রামের মানুষদের চিকিৎসা করতে চাই, সেবা করতে চাই।’’ কী ভাবে ছেলেকে পড়াশোনায় পোক্ত করে তুললেন, বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছেন বাবা। বাণী বলেন, ‘‘আমি ছেলেদের বলেছিলাম, ওরা যতটা পড়তে চায় পড়ুক। আমি কষ্ট করে পড়াব। কিন্তু ওদের চিকিৎসক হিসাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম। আমার বড় ছেলে বা মেজো ছেলে যাতে গ্রামের মানুষের সেবা করতে পারে। সেই স্বপ্ন পূর্ণ হল।’’

আরও পড়ুন
Advertisement