Suicide

ডোমকলের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার নার্সের ঝুলন্ত দেহ, ডিউটি থেকে ফিরে কথা হয় স্বামীর সঙ্গে

আমিনা আদতে বেলডাঙার বাসিন্দা। গত এক বছর ধরে ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করতেন। চাকরিসূত্রে সেখানেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩২
ডোমকলের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার নার্সের দেহ।

ডোমকলের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার নার্সের দেহ। — ফাইল চিত্র।

মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার নার্সের ঝুলন্ত দেহ। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ডিউটি থেকে ফিরে তিনি স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ভাইয়ের বিয়েতে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে শনিবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হল ২৪ বছরের আমিনা সুলতানার দেহ।

Advertisement

আমিনা আদতে বেলডাঙার বাসিন্দা। গত এক বছর ধরে ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করতেন। চাকরিসূত্রে সেখানেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। ১০ মাস আগে তানবির আজিমের সঙ্গে আমিনার বিয়ে হয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারও হাসপাতালে ডিউটি করেছিলেন তিনি। ডিউটি সেরে রাতে ভাড়া বাড়িতে ফেরেন। তার পরে স্বামীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল তাঁর। মৃতের স্বামী তানবির দাবি করেছেন, তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না। তাঁর কথায়, ‘‘শুক্রবার রাতে ফোনে কথা হয় দীর্ঘ ক্ষণ। তার পর ফোন কেটে যায়। রাতে ফোন করে আর আমিনাকে পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালেও ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। বাড়ির মালিককে ফোন করে জানাই। তার পরে ভাড়া বাড়িতে এসে এই ঘটনা জানতে পারি।’’

আমিনার স্বামী স্ত্রীর হাসপাতালে কাজের চাপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছু বুঝতে পারছি না। কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা ছিল না। হেকটিক ডিউটি ছিল। কাজের চাপে মাঝে মধ্যে শরীর খারাপ হত ওঁর। তা ছাড়া কোনও সমস্যা ছিল না। মানসিক কোন চাপও ছিল না। শুক্রবার শরীর খারাপের কথাও বলেছিল।”

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্ত করা হবে দেহের। আমিনার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। কেন মেয়ে এই কাজ করল, তা নিয়ে তাঁরা ধন্দে। পুলিশ মৃতার পরিবার এবং হাসপাতালের সহকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

Advertisement
আরও পড়ুন