nহাসপাতালে বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র।
দলের জেলা কার্যালয়ের সামনেই আক্রান্ত হলেন বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। রক্তাক্ত আবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্জুনের মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা স্পষ্ট নয় বলে বিজেপির দাবি। তবে দলেরই একটি অংশের দাবি, টিকিট পাওয়া নিয়ে দলের অন্দরে যে কোন্দল চলছে তারই জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যদিও অর্জুন নিজে এই সম্ভবনার কথা স্বীকার করেননি।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। সোমবার টিকিট না পেয়ে জেলা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী। অর্জুনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে কার্যালয়ের দরজায় তাঁরা তালা লাগিয়ে দেন। সেই থেকে দরজায় তালা বন্ধই ছিল। শুক্রবার সেই তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন জেলা নেতারা। সেখানে কৃষ্ণনগরের প্রার্থীদের ও নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন অর্জুন। বেলা ৪টে নাগাদ বৈঠক সেরে তাঁরা কার্যালয় থেকে বার হতেই হামলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগে থেকে বেশ কয়েক জন বাইরে অপেক্ষা করছিল। অর্জুন বেরোতেই তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে দলের অন্য নেতাকর্মীরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। তৎক্ষণাৎ গাড়িতে তুলে অর্জুনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে শুয়েই তিনি দাবি করেন, “যারা আমার উপরে হামলা করেছে, তাদের আমি চিনি না। কেন তারা আমরা উপরে চড়াও হল, সেটাও বুঝতে পারছি না।” বিজেপির কার্যালয়ের বাইরে সিসি ক্যামেরা আছে। কিন্তু আগে থেকেই সেটা ভেঙে রাখা হয়েছিল। অর্জুনের মতে, “এর থেকেই পরিষ্কার যে আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এই হামলা করা হয়েছে।” কিন্তু রাত অবধি তিনি পুলিশের কাছে কারএ বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাননি।
এ বারই প্রথম নয়, এর আগেও এই কার্যালয়ের সামনে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির একাধিক জেলা সভাপতি। বছরখানেক আগে একই ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৎকালীন উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশুতোষ পাল। তাঁকে দলেরই কর্মীরা শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেছিল বলে অভিযোগ। এখন অর্জুন যা-ই বলুন, তাঁর ঘনিষ্ঠদেরই অনেকে দাবি করছেন যে টিকিট না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভের জেরে দলের লোকের হাতেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে অর্জুনের দাবি, “দলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় বলেই মনে হচ্ছে। কারণ দলের কোনও কর্মী বা কার্যকর্তা হলে আমি তাদের চিনতাম।” নিজস্ব চিত্র