BJP

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজেপির কর্মসূচি স্তব্ধ

বিধায়কের সঙ্গে জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের ‘মধুর সম্পর্কে’ কথা সকলেরই জানা। তাঁর দাবি, নিজেদের মধ্যে সেই কোন্দলের কারণে রাজ্য সভাপতির ঘোষিত কর্মসূচি পালিত হল না।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নবান্ন অভিযানে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার রাজ্য জুড়ে সব থানায় সেই বিক্ষোভ কর্মসূচির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর সেই কর্মসূচি বাদ থাকল মুর্শিদাবাদের খাস জেলা সদর বহরমপুর থানাতেই।

যা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপি সূত্রের খবর, মণ্ডল সভাপতিদের থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত করতে বলা হয়েছিল। বহরমপুর থানা বিজেপির বহরমপুর শহর দক্ষিণ মণ্ডলের মধ্যে পড়ে। বিজেপির এক নেতা জানান, বহরমপুর দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ রায় বহরমপুরের দলীয় বিধায়ক সুব্রত মৈত্রর অনুগামী। আর বিধায়কের সঙ্গে জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের ‘মধুর সম্পর্কে’ কথা সকলেরই জানা। তাঁর দাবি, নিজেদের মধ্যে সেই কোন্দলের কারণে রাজ্য সভাপতির ঘোষিত কর্মসূচি পালিত হল না।

Advertisement

জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘বহরমপুরে কেন কর্মসূচি হয়নি তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে জেলার বাকি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলীয় নেতা কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন।’’

যদিও বিজেপির বহরমপুর শহর দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ রায় গোষ্ঠী কোন্দলের কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘কোনও কোন্দল নেই। নবান্ন অভিযানের দিনে দু’জন কর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য বহরমপুরের বাইরে ছিলাম। তাই থানা ঘেরাও কর্মসূচি করা যায়নি।’’ বিজেপির বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, ‘‘বহরমপুর থানা এলাকায় দলের চারটি মণ্ডল কমিটি পড়ে। তার মধ্যে নবান্ন অভিযানে বহরমপুর দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ রায় ছাড়া আরও কয়েকজন অসুস্থ। বাকি মণ্ডলের সভাপতিরা কী করছিলেন?’’

বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দল বরাবরই রয়েছে। তবে মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করার পর থেকে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। দল সূত্রেই খবর, জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের সঙ্গে বনিবনা নেই দলের দুই বিধায়ক সুব্রত মৈত্র ও গৌরীশঙ্কর ঘোষের।

আরও পড়ুন
Advertisement