Sagardighi Assembly Bypoll

কংগ্রেসের প্রার্থী নতুন মুখ বাইরন

জেলার বিড়ি ব্যবসায়ীদের সিংহভাগই এত দিন ছিল তৃণমূলের দখলে। তিন জন বড় বিড়ি ব্যবসায়ী তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়ক।

Advertisement
বিমান হাজরা
সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৮
প্রার্থী: বাইরন বিশ্বাস।

প্রার্থী: বাইরন বিশ্বাস।

শমসেরগঞ্জের বিড়ি ব্যবসায়ী বাইরন বিশ্বাসকে সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করল কংগ্রেস।শুক্রবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস তাঁর নাম ঘোষণা করে।

এর ফলে শেষ পর্যন্ত সাগরদিঘিতে সিপিএমের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ল।

Advertisement

সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাগরদিঘির জ্যোতিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, সাগরদিঘিতে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে এখনও রাজ্য কমিটি জেলা নেতৃত্বকে কিছুই জানায়নি। জোট হবে কি না, তাও জানানো হয়নি। তবে যাই হোক, তৃণমূল ও বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যেই উপনির্বাচনে কাজ করবেন বামকর্মীরা।

জেলার বিড়ি ব্যবসায়ীদের সিংহভাগই এত দিন ছিল তৃণমূলের দখলে। তিন জন বড় বিড়ি ব্যবসায়ী তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়ক। বিড়ি ব্যবসায়ী জইদুর রহমানকে দাঁড় করিয়েও শমসেরগঞ্জে ২০২১ সালে জেতাতে পারেনি কংগ্রেস। এ বারে সাগরদিঘিতে তৃণমূলের দখলে থাকা আসনে লড়াই করতে শেষ পর্যন্ত তাই কংগ্রেস বেছে নিল শমসেরগঞ্জের এক বিড়ি ব্যবসায়ীকে।

বয়সে তরুণ বাইরন বিড়ি শিল্পপতি বাবর বিশ্বাসের বড় ছেলে। তিন ছেলের সকলেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়াও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চায়ের ব্যবসা ও হাসপাতালও চালান তাঁরা। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পরিবার বলেই পরিচিত এলাকায়। তবে অতীতে পরিবারের কেউই কখনও কোনও নির্বাচনে দাঁড়াননি। বরাবরই কংগ্রেস ঘরানার পরিবার হলেও সরাসরি রাজনীতি করেননি কখনও।

বাইরন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় জঙ্গিপুর থেকে লোকসভায় প্রার্থী হলে তাঁর সঙ্গে বাবর বিশ্বাসের ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পাশাপাশি প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত সাহার সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক ছিল বাইরনের। অন্য তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও তাঁর ভাল সম্পর্ক রয়েছে।

বাইরন বলেন, “বরাবরই কংগ্রেসকে পছন্দ করি। তাই দলের প্রার্থী হয়ে সাগরদিঘির জন্য কিছু করতে চাই বলেই সম্মতি দিয়েছি।”

তবে স্থানীয় প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে কংগ্রেসে ক্ষোভ রয়েছে। সাগরদিঘি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি বদরুল হকের বক্তব্য, ‘‘স্থানীয় প্রার্থী চাওয়া হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা দলের সমস্ত কর্মী মেনে নেবেন, এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।” ২০২১ সালের নির্বাচনে পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী ও জঙ্গিপুরের মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পাও বলেন, “স্থানীয় কর্মীদের ক্ষোভ সাময়িক।”

জঙ্গিপুরের তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, “কংগ্রেসের প্রার্থী যিনিই হোন, সাগরদিঘিতে তৃণমূলের জয় নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই।’’

আরও পড়ুন
Advertisement