Krishnanagar

সমাজমাধ্যমেই পদচ্যুতির খবর, স্তম্ভিত বিমলেন্দু

বিমলেন্দুর দাবি, এ দিন তিনি পদ থেকে অপসারণের কথা জানতে পারেন সমাজমাধ্যম মারফত। অন্য দিনের মতো এ দিনও তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে যাওয়ার জন্য বার হচ্ছিলেন।

Advertisement
সুস্মিত হালদার, অমিতাভ বিশ্বাস
কৃষ্ণনগর, করিমপুর শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২২ ০৭:০৬
বিমলেন্দু সিংহ রায়। নিজস্ব চিত্র

বিমলেন্দু সিংহ রায়। নিজস্ব চিত্র

তাঁকে আচমকা নদিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তিনি আহত তো বটেই, সেই নির্দেশিকা তাঁর হাতে আসার আগেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিস্মিত করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়। শুক্রবার তিনি বলেন, “কাউকে পদ থেকে অপসারণ করার আগে তাঁকে জানানো পর্যন্ত হবে না? এর আগে কখনও এমনটি ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই।”

সেই সঙ্গে উঠছে প্রশাসনিক প্রশ্নও উঠছে। কেননা বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের যুগ্মসচিবের তরফে ই-মেল পাটিয়ে নদিয়া জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠিকে ওই দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের একাংশের মতে, সাধারণত সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে কাউকে সরানোর পর নতুন কেউ দায়িত্ব বুঝে না নেওয়া পর্যন্ত স্কুল পরিদর্শকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনটাই বারবার দেখা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তা না করে সরাসরি জেলাশাসককে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলায় নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রের মতে, স্কুল পরিদর্শককেই দায়িত্ব দিতে হবে এমন কোনও বাধ্যবধকতা নেই। আগেও অন্য জেলায় এমন ক্ষেত্রে জেলাশাসককে দায়িত্ব দেওয়ার নজির রয়েছে। তবে নদিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিদর্শক সুকুমার পাসারি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

বিমলেন্দুর দাবি, এ দিন তিনি পদ থেকে অপসারণের কথা জানতে পারেন সমাজমাধ্যম মারফত। অন্য দিনের মতো এ দিনও তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে যাওয়ার জন্য বার হচ্ছিলেন। সেই সময়ে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী প্রথম হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে যাওয়া নির্দেশিকাটি দেখান। পরে পরিবারের লোকেরাও তাঁকে একই কথা জানান। বিমলেন্দু বলেন, “আমি প্রথমটায় বিশ্বাসই করতে পারিনি। তার পর অফিসে গিয়ে জানতে পারি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমায় জেলাশাসককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। কালবিলম্ব না করে অফিসে উপস্থিত স্কুল পরিদর্শককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে এসেছি।”

আচমকা কেন গেল পদ?

বিমলেন্দুর দাবি, “আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।” যদিও কে বা কারা সেই ষড়যন্ত্র করেছে তার কোনও ব্যাখ্যা তিনি দেননি। ঘটনাচক্রে, বিমলেন্দু করিমপুরের বিধায়ক হওয়া ইস্তক আগের বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের শিবিরের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের ঘটনা বারবার সামনে এসেছে। বিমলেন্দুর ঘনিষ্ঠদের একাংশের দাবি, তাঁকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর পিছনেও এক ‘প্রভাবশালী’ সাংসদের হাত রয়েছে। একই কারণে অন্যান্য বিধানসভা এলাকার স্কুলে স্থানীয় বিধায়কের সুপারিশ অনুযায়ী পরিচালন সমিতি গড়া হলেও করিমপুরের স্কুলগুলিতে এখনও পুরনো কমিটিই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিমলেন্দু স্থানীয় বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও মহুয়া করিমপুর পান্নাদেবী কলেজের পরিচালন সমিতির সভানেত্রী পদে রয়েছেন। যদিও এ প্রসঙ্গে রাত পর্যন্ত মহুয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement