জল কমতেই ভাঙনের ধার বাড়ছে। বসতি থেকে সামান্য দূরেই চলে এসেছে গঙ্গা। নিজস্ব চিত্র।
ফের শুরু ভয়াভহ গঙ্গা ভাঙন মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের ধানঘড়ায়। শুক্রবার বেলা ৩. ৩০টা নাগাদ গঙ্গা ভাঙন শুরু হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ধানঘড়া এলাকার। চোখের সামনে গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি।
এর আগেও ভাঙন হয়েছে এই এলাকায়। বিঘের পর বিঘে চাষের জমি, আম, লিচু বাগান সহ বসতি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। আজও সেখানে অনেকে ত্রিপল খাটিয়ে বাস করছে। প্রসাশন এখনও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফের ভাঙন শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষ দিশেহারা।
চোখের সামনে তলিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি আম লিচুর বাগান বসতি থেকে কয়েক মিটার দুরে গঙ্গা এখন তাই এলাকার মানুষ ঘর ভেঙে অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য জিনিস পত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে। অনেকের আর কোন যায়গা না থাকায় স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছে।
ধানঘড়ার বাসিন্দা গুলেনোর বেওয়া জানালেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা ছিল গঙ্গায় জল কমলে ভাঙন হবে, তাই প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম ভাঙন রোধের যেন ব্যবস্থা করে কিন্ত ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা তারা করেনি তাই ভাঙন শুরু হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘এর আগে আমাদের বাড়ি ছিল এখন যখানে মাঝ গঙ্গা সেখানে। সেখানকার বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার পর আশ্রয় নিয়েছিলাম মেয়ের বাড়িতে সেই ভিটেও চলে যেতে বসেছে। এবার কোথায় যাব আমরা দিশেহারা।’’
গঙ্গার ভাঙন রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করলে ধানঘড়ায় মানুষ বাধা দেয়। তাঁদের কথা যদি ভাঙন রোধ করতে হয় তা হলে পাথর অথবা কংক্রিটের করতে হবে। বালির বস্তা দিয়ে কোন লাভ হয় না, শুধু অপচয়।
ধানঘড়ায় জাহাঙ্গীর সেখ, মকবুল সেখ, কেতাবুদ্দিন সেখরা জানালেন, ২০২০ সাল থেকে ভাঙন শুরু হয়। এই ভাঙনকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি এর দোষ আর তার দোষের কথা বলে চলে গেল কাজের কাজ কিছুই হল না। মাঝ খান থেকে এই এলাকার মানুষ কোন মতে বাস করছিল সে স্থানটুকুও থাকল না। যদি গঙ্গার বাঁধ ভাল ভাবে করত তা হলে তাঁদের এই অবস্থা হত না।
নিমতিতা পঞ্চায়েতের প্রধান সিউটি হালদার বলেন, ‘‘ধানঘড়ায় ফের ভাঙন শুরু হওয়ায় আমরা চিন্তিত। আমি বিডিও ও সেচ দফতর কে ভাঙনের কথা জানিয়েছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।’’