—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অসম পুলিশ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য শাব শেখের পিসতুতো ভাইকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে সাজিবুল ইসলাম নামে ওই যুবককে পাকড়াও করা হয়। জানা যাচ্ছে, বাংলার এসটিএফের সঙ্গে অসম পুলিশের এসটিএফ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে ধরেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার জঙ্গি মডিউল সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করিয়ে রিমান্ডে নিতে চাইছে অসম এসটিএফ।
পুলিশ সূত্রের খবর, শাবকে গ্রেফতারের পরে আনসারুল্লাহের বাংলা শাখার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজ চলছে। সেই সূত্র ধরে নওদা থানার দুর্লভপুর গ্রাম থেকে সাজিবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সাজিবুলের বাড়িতেই প্রথম ঘাঁটি গেড়েছিল শাব। সেখান থেকে স্থানীয় ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিল জঙ্গি সন্দেহে ধৃত যুবক।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে মিনারুল শেখ এবং মহম্মদ আব্বাস নামে দুই ব্যক্তিকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় অসম পুলিশ। ধৃতেরা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলেই খবর মিলেছিল পুলিশ সূত্রে। তদন্তকারীদের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জনের দায়িত্ব ছিল প্রথমে এলাকার ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সি কয়েক জন ছেলেমেয়েকে চিহ্নিত করা। তার পর তাদের মাদ্রাসায় নিয়ে এসে মগজধোলাই। শুধু মুর্শিদাবাদই নয়, ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুর এবং আলিপুরদুয়ারেও কিশোর-কিশোরীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্তত ৩০ জন সুইসাইড বম্বারের দল তৈরি করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। মিনারুল এবং আব্বাস ছাড়াও শাব নামে এক জনকে কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার কিশোর-কিশোরীদের প্রশিক্ষণ নিয়ে আনসারুল্লাহের বাংলা শাখার দুই নেতা আমির এবং জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকও করেছিল শাব। সেই মতোই ছোট ছোট মাদ্রাসায় এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের বক্তৃতাও শোনানো হত কিশোর-কিশোরীদের। মগজধোলাইয়ের পর অস্ত্রচালনা শেখানো, তাদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাঠানোরও পরিকল্পনা ছিল মিনারুল, আব্বাস, শাবদের। আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা শাব প্রায়শই হরিহরপাড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে আসত। এ বার পুলিশের জালে শাবের আত্মীয়বাড়ির এক সদস্য।