নিজস্ব চিত্র
অধীর চৌধুরীরকে ঘিরে তীব্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা এলাকা। শুক্রবার অধীরের গাড়ি এলাকায় পৌঁছতেই কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। লাঠি, ঝাঁটা হাতে পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়েন অনেকেই। গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেসের অভিযোগ, হামলা চালিয়ে অধীরের গাড়ি ভেঙেছে তৃণমূল।
কংগ্রেসের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল। ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ি, লুঠ করা হয় জিনিসপত্র। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার ঘটনাস্থলে যান লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘‘এখানে তো দেখছি, কারও হাতেই কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। মস্তানদের নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার পুলিশের হাতে আছে কি না, তাও বুঝতে পারছি না। না হলে পাঁচ ঘণ্টা ধরে লুঠ হয় কী করে? সরকারি দলের লোকেরা সব লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ উদ্ধার করতে আসেনি। কেন ঘরের মা-বোনেদের এই অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হবে?’’
এর আগে, ১৫ অগস্ট তৃণমূলের রানিনগর ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শাহ আলমের গাড়িতে হামলা হয়। সেই হামলায় মৃত্যুও হয় গাড়ি চালকের। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই হামলার দুষ্কৃতীদের আড়াল করতেই অধীরের এই সফর।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অভিযোগ, ‘‘১৫ অগস্ট আমার গাড়িতে হামলা চালানো হয়। অধীর চৌধুরী যাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, তাঁরাই খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত। ওঁদের অভিযোগ মিথ্যা। আমার গাড়িতে যে দিন হামলা করা হয়, সে দিনই ওঁরা নিজেদের বাড়ির জিনিসপত্র সরিয়ে রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার নিজেদের বাড়ি নিজেরাই ভেঙেছেন। অধীর চৌধুরী আজ নাটক করতে এসেছেন।’’