Death

বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু জেলা হাসপাতালে! অভিযোগ অস্বীকার

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ভীমপুর থানার ঘূর্ণি দীঘিপাড়ার বাসিন্দা নিজের ঘরে কাপড়ের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:০৭
An image of Death

—প্রতীকী চিত্র।

গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন যুবক। পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে আসেন জেলা হাসপাতালে। এমারজেন্সি বিভাগে দেখানোর পর তৎক্ষণাৎ রোগীর ইসিজি করার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ইসিজি রুমের সামনে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও দেখা পাওয়া যায়নি ইসিজি টেকনিশিয়ান ও কার্ডিওলজি চিকিৎসকের। বিনা চিকিৎসায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকার পর মৃত্যু হয় ওই যুবকের! চিকিৎসার গাফিলতিতে যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। মৃতের নাম সুশান্ত মণ্ডল (২৩)। তাঁর মৃত্যুতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ভীমপুর থানার ঘূর্ণি দীঘিপাড়ার বাসিন্দা নিজের ঘরে কাপড়ের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। এর পর হাসপাতালে চিকিৎসক তাঁকে ইসিজি করাতে হবে বলে জানায়। অভিযোগ, পরিবারের পক্ষ থেকে ইসিজি ঘরে নিয়ে গেলেও কোনও অপারেটর না থাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় রোগীকে নিয়ে তাঁদের বসে থাকতে হয়। এর পরই মৃত্যু হয় সুশান্তের। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে দীর্ঘক্ষণ ধরে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন রোগী। এর পরেই পরিবারে পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও এই ঘটনার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে।

মৃত যুবকের আত্মীয় সমর মন্ডল বলেন, ‘‘সঠিক সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা করা হলে ছেলেকে বাঁচানো যেত। এত বড় হাসপাতাল, এত বড় বড় যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র চিকিৎসকদের গাফিলতিতে ছেলের মৃত্যু হল।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement