JNM Hospital

অপসারিত অভিজিৎ, কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হলেন মণিদীপ

অভিজিৎ দাবি করেছেন, এনএমসি-তে যে যোগ্যতা দরকার সেটা কম থাকায় পদ ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। যদিও এতে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছেন হাসপাতালের একাংশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৮
JNM Hospital

কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

‘কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হসপিটাল’-এর অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে‌। নতুন অধ্যক্ষ হলেন মণিদীপ পাল। মঙ্গলবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসক, মেডিক্যাল পড়ুয়ারা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব-সহ নানা অভিযোগে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তার পরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটল। অন্য দিকে, অধ্যক্ষের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চিকিৎসকদের একাংশ। সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েই অধ্যক্ষকে সরানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দেয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। তার পরেই সরানো হল অভিজিৎকে।

Advertisement

কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা বসানো, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের দাবি ওঠে। আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ওই আন্দোলন শুরু হয়। এ ছাড়াও জেএনএম হাসপাতালের পিজিটি, হাউস স্টাফ এবং ইন্টার্নদের সমান বৃত্তি দেওয়া, অনকল রুম, ভাল শৌচাগার, পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা, হস্টেল এবং হাসপাতাল চত্বরে আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে আসছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার তাঁদের একাংশ অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে এই সমস্ত দাবি দ্রুত পূরণের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।

অপসারণের পর অভিজিৎ দাবি করেছেন, এনএমসি-তে যে যোগ্যতা দরকার সেটা কম থাকায় পদ ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। যদিও এই অবস্থায় হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছেন হাসপাতালের একাংশ। জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে আলিম বিশ্বাস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর আমাদের আস্থা চলে গিয়েছে। জানি এতে রোগীদের সমস্যা হবে। কিন্তু আমরা নিরুপায়। আমরা চাই না, আমাদের কলেজে আরজি করের মতো ঘটনা ঘটুক।”

আরও পড়ুন
Advertisement