Death

মারধর, অ্যাসিড আর ওষুধও, মৃত অন্তঃসত্ত্বা

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে থানারপাড়ারই পিপুলখোলা গ্রামের বাসিন্দা সাগরার সঙ্গে পণ্ডিতপুরের শরিফুল শেখের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের একটি সাত বছরের ছেলে ও আড়াই বছরের মেয়ে আছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৩৩
representational image

—প্রতীকী ছবি।

গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য মারধর চলছিল বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ রয়েছে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার এবং জোর করে ওষুধ খাওয়ানোরও। ফলে রক্তক্ষরণ ও চোট-আঘাতের জেরে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের। পরে শুক্রবার রাতে খুনের অভিযোগ দায়ের হল নদিয়ার থানারপাড়ায়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সাগরা বিবি (২৫)। শুক্রবার বিকেলে নতিডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শ্বশুরবাড়ি স্থানীয় পণ্ডিতপুর গ্রামে। সাগরার বাবা মনিরুল বিশ্বাস তাঁর স্বামী, শাশুড়ি ও দুই জায়ের বিরুদ্ধে থানারপাড়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ জানায়, অভিযুক্তেরা সকলেই পলাতক। আজ, শনিবার মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হবে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে থানারপাড়ারই পিপুলখোলা গ্রামের বাসিন্দা সাগরার সঙ্গে পণ্ডিতপুরের শরিফুল শেখের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের একটি সাত বছরের ছেলে ও আড়াই বছরের মেয়ে আছে। দিনমজুর শরিফুল আর সন্তান চাইছিলেন না বলে দাবি।

তবে সাগরার বাবার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শ্বশুরবাড়িতে তাঁর মেয়ের উপরে অত্যাচার চলছিল। এর আগে কয়েক বার আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসাও করা হয়েছে। এ বার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা সাগরার গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট করার জন্য শরিফুল ও তাঁর বাড়ির লোকজন চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। তাতে রাজি না হওয়ায় দিন সাতেক আগে তাঁকে বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে পেটানো হয় বলেও দাবি। অভিযোগ, উরুতে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়। প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে জোর করে তাঁকে বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল বলেও সাগরার বাবা জানিয়েছেন। তার পর থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয় সাগরার। মৃতপ্রায় অবস্থায় তাঁকে নতিডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত সাত দিনে শ্বশুরবাড়ির কেউ তাঁকে দেখতেও আসেনি।

পুলিশ জানায়, মনিরুল বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। পলাতক চার অভিযুক্তের সন্ধান পেতে তল্লাশি হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement