Love Affair

সহবাসের পর বিয়েতে নারাজ মাস্টারমশাই, অভিমানে নিজেকে শেষ করে দিলেন তেহট্টের ছাত্রী!

ছাত্রীর লেখা চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে, গৃহশিক্ষকের সঙ্গে তাঁর ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। সহবাসও করেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলে বেশ কয়েক মাস ধরে টালাবাহানা করছিলেন ‘প্রেমিক’।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ২১:৪৪
A lady allegedly killed herself after jilted in love in Nadia

ঘরের দরজা ভেঙে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পরিবার। —প্রতীকী চিত্র।

ছাত্রীর সঙ্গে সহবাসের পর তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তেহট্টের থানারপাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম হামিদা খাতুন। গৃহশিক্ষক হাবিবুর রহমান মণ্ডল, তাঁর বাবা নিয়াজুদ্দিন মণ্ডল এবং মা সাবেদা বিবির নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন হামিদার মা। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাবিবুর গৃহশিক্ষকতা করেন। হামিদাকে পড়াতে পড়াতে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের। ছাত্রীর লেখা চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে, একে অপরকে ভালবাসতেন তাঁরা। সহবাসও করেন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, হামিদা বিয়ের জন্য চাপ দিলে বেশ কয়েক মাস ধরে টালাবাহানা করছিলেন ‘প্রেমিক’। বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবেন বলে নিজের বাড়িতে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠান। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, সেখানে তাঁর মেয়েকে মানসিক নির্যাতন করেন ওই গৃহশিক্ষক। আর তাঁর সঙ্গ দেন হবিবুরের বাবা-মা। এমনকি, তাঁর মেয়েকে গলায় দড়ি বা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে বলা হয় বলেো অভিযোগ করেছেন তিনি।

Advertisement

রীতা জানান, বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ মেয়ে বাড়ি ফেরে বিধ্বস্ত অবস্থায়। তাকে ওই রকম লাগছে কেন জানতে চাইলে সে সমস্ত কথা খুলে বলে। এর পর নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তার আগে একটি চিঠিতে নিজের ভালবাসার কথা লিখে ‘প্রেমিককে’ দায়ী করে সে। বেশ কিছু ক্ষণ ঘর থেকে তার সাড়া না পেয়ে বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙে ছাত্রীর ঘরে ঢোকেন। দেখেন সিলিং থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে সে। সঙ্গে সঙ্গে তরুণীকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলিছে। তা ওই ছাত্রীরই লেখা কি না পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement