—প্রতীকী ছবি।
বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সাত বছরের এক শিশুকন্যা। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল পরিবারের তরফে। এর পরেই খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। জলে ডুবে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে আশপাশের ডোবা ও জলাশয় জাল ফেলে তল্লাশিও চালানো হয়। কোনও ভাবেই খোঁজ না মেলায় রবিবার কুকুর নিয়ে এসে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এর পর বিকেলেই মাঠের পাশে একটি বাগানে শিশুর অর্ধনগ্ন পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার নাগাদির ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে শিশুকন্যাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ এপ্রিল বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশুকন্যা। পাড়ার একটি মুদিখানার দোকানের সামনে শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ না মেলায়, নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয় নাকাশিপাড়া থানায়। কোথাও জলে ডুবে গিয়ে থাকতে পারে মেয়েটি, এই আশঙ্কায় আশপাশের জলাশয়গুলিতে জাল ফেলে তল্লাশিও চালায় পরিবার ও পড়শিরা। এর পর রবিবার পুলিশ স্নিফার ডগ নিয়ে এসে এলাকায় তল্লাশি চালায়। সেই সময়েই উত্তরপাড়ার একটি বাগানে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। মেয়েটির মায়ের অভিযোগ, ‘‘বাচ্চা মেয়ে ও। একা কী করে অত দূরের মাঠে চলে গেল? ওকে অপহরণ করা হয়েছিল। ওর সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তদন্ত করলে জানা যাবে। আমি চাই দোষীদের ফাঁসি হোক।’’
এই ঘটনায় কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, ‘‘দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’