(বাঁ দিকে) আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে ডেকে নবান্নের চিঠি। —নিজস্ব চিত্র। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (ডান দিকে)।—ফাইল চিত্র।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বৈঠকে ডাকল নবান্ন। তাঁদের জানানো হয়েছে, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। তবে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হবে না। বৈঠক রেকর্ড করা হবে। অর্থাৎ, আন্দোলনকারীরা যে শর্তগুলি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে প্রধান দু’টি শর্ত মানা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। নবান্নের চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য সরকার আপনাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে যে নির্দেশ দিয়েছে, তা-ও মাথায় রাখতে হবে। আপনারা জানেন, আপনাদের প্রতিনিধিদের জন্য বৈঠক করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী গত দু’দিন ধরে নবান্নে অপেক্ষা করেছেন। আমরা আলোচনায় বসতে চাই।’’
চিঠিতে বলা হয়েছে—
জুনিয়র ডাক্তারদের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন মুখ্যসচিব। সেই সঙ্গে তিনি চিঠিতে ডাক্তারদের ১৫ প্রতিনিধিকে বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটের মধ্যে নবান্নে পৌঁছে যেতে অনুরোধ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কারা দেখা করবেন, সেই প্রতিনিধিদের নাম ইমেল মারফত জানাতে বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন তাঁরা। পালন করছেন কর্মবিরতি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। কিন্তু তার পরেও তাঁরা কাজে ফেরেননি। বরং ওই দিনই স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন আন্দোলনকারীরা। সেই থেকে ধর্না চলছে। এর আগে পর পর দু’বার তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দু’দিন নবান্নে অপেক্ষা করে করে তাঁকে ফিরে যেতে হয়েছে। আন্দোলনকারীদের শর্ত ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। তাঁরা ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে নবান্নের বৈঠকে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব চিঠিতে জানালেন, তাঁদের ওই দু’টি শর্ত মানা হচ্ছে না।
নবান্নের এই চিঠি নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠকে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অনিকেত মাহাতো বলেছেন, ‘‘আমরা সকলে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’