Kaliagunj incident

মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় ক্ষুব্ধ নবান্ন! জেলা স্বাস্থ্যকর্তার থেকে দ্রুত রিপোর্ট তলব

কেন এমন ঘটনা ঘটল, শিশু মৃত্যুর পর কেন ‘অভাবী’ পরিবারকে দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হল না হাসপাতালের তরফে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ১৪:৩৬
Nabanna has called for a report to the North Dinajpur District Health Officer on the Kaliaganj incident

কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় ক্ষুব্ধ নবান্ন এ বার রিপোর্ট তলব করল উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। — ফাইল চিত্র।

হাসপাতালে মৃত্যুর পর পাঁচ মাসের সেই সন্তানের দেহ ব্যাগে ভরে বাসে করে বাড়ি ফিরেছিলেন কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। রবিবারের সেই ঘটনা জানতে পেরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। কালিয়াগঞ্জের ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নবান্ন এ বার রিপোর্ট তলব করল উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। নিয়ম মতো ওই রিপোর্টের একটি কপি পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনকেও। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বিকেলে জানিয়েছেন, এমন ঘটনা না ঘটলেই ভাল। পাশাপাশি, তাঁর মন্তব্য, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সের ঘাটতি থাকার কথা নয়। হয়তো তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স, তিনটেই অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল।’’

রবিবার ঘটনাটি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলেও চাপান-উতোর এবং দোষারোপ শুরু হয়ে যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটে কটাক্ষ করেন রাজ্য সরকারকে। তৃণমূল যদিও এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই দাবি করে। রবিবার দিনভর এমন বিতর্কে নজর রেখেই চলে নবান্ন। এর পর সোমবার কড়া পদক্ষেপ করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করল নবান্ন।

Advertisement

কেন এমন ঘটনা ঘটল, শিশু মৃত্যুর পর কেন ‘অভাবী’ পরিবারকে দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হল না হাসপাতালের তরফে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই ঘটনার জন্য নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ প্রশাসনের কোনও কর্তা।

সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন, দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সরকারি স্তরে কোনও নির্দেশনামা নেই হয়তো। কিন্তু মানবিক কারণেই এই ক্ষেত্রে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করতেই পারতেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানিয়েছেন, ওই পরিবার শিশুটির দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদি করত, তা হলে হাসপতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা করতেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement