Kunal Ghosh

সারদার আরও একটি মামলায় কুণালকে নির্দোষ বলল আদালত, দোষ কবুল করে ‘মুক্ত’ কর্তা সুদীপ্তও

বৃহস্পতিবার এই মামলাটির শুনানি ছিল। এর আগে সারদার আরও একটি মামলায় কুণাল ঘোষকে নির্দোষ বলেছিল কোর্ট। এখনও পর্যন্ত জেলের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টার মামলাতেই কুণাল কেবল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৪
(বাঁ দিকে) কুণাল ঘোষ। সুদীপ্ত সেন (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) কুণাল ঘোষ। সুদীপ্ত সেন (ডান দিকে)। —গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।

সারদাকাণ্ডের আরও একটি মামলায় তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র ও রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকে নির্দোষ বলল সাংসদ-বিধায়ক বিশেষ আদালত। ২০১৩ সালে দায়ের হওয়া পার্ক স্ট্রিট থানার এই মামলায় কুণালকে অভিযোগমুক্ত হিসাবে রায় দিয়েছেন বিচারক জয়শঙ্কর রায়। কুণালের হয়ে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। পাশাপাশি, দোষ কবুল করায় সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকেও নির্দিষ্ট এই মামলাটি থেকে ‘মুক্ত’ করেছে আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এই মামলাটির শুনানি ছিল। এর আগে সারদার আরও একটি মামলায় কুণালকে নির্দোষ বলেছিল কোর্ট। এখনও পর্যন্ত জেলের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টার মামলাতেই কুণাল কেবল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে আদালত ওই মামলায় তাঁকে কোনও সাজা দেয়নি। বলা হয়েছিল, সেই সময়ে কুণালের মানসিক অবস্থা ভাল ছিল না।

পার্ক স্ট্রিট থানার এই মামলাটিতে কুণালের বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারায় অভিযোগ করা হয়েছিল। কুণালের আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, ৪০৯ ধারা তখনই বলবৎ হয়, যখন কোনও সরকারি কর্মচারী বা আধিকারিক সরকারি তহবিল তছরুপ করেন। এ ক্ষেত্রে কোনওটাই নেই। কারণ, কুণাল সরকারি কর্মচারীও ছিলেন না। আর সারদার সঙ্গে সরকারি তহবিলের কোনও সম্পর্ক ছিল না। শুনানি শেষে কুণালকে নির্দোষ ঘোষণা করে আদালত।

অন্যদিকে, সারদাকর্তা সুদীপ্তের বিরুদ্ধে ৪০৬ ধারায় (প্রতারণা) অভিযোগ করা হয়েছিল। তিনি দোষ স্বীকার করে নেন। প্রতারণার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা তিন বছরের জেল। ইতিমধ্যেই তাঁর ১২ বছর জেল খাটা হয়ে গিয়েছে। তাই তাঁকেও এই মামলাটিতে মুক্ত করার রায় দিয়েছে আদালত। বস্তুত, বৃহস্পতিবারের শুনানির পর মামলটিতেও দাঁড়ি পড়ে গেল। ২০১৩ সালে এই মামলা দায়ের করেছিল রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল। রায় ঘোষণার পর কুণাল তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় শুধু বলেছেন, ‘‘ঈশ্বর আছেন!’’

আরও পড়ুন
Advertisement