becharam manna

Becharam Manna: দেড় হাজার মানুষের প্রাণহানি! জাতীয় সড়কে সাইকেল চালিয়ে প্রতিবাদ মন্ত্রী বেচারামের

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্থানীয় বিধায়কের নেতৃত্বে অবস্থান করেছেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ ১৫:৫২
জাতীয় সড়কে সাইকেল চালিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।

জাতীয় সড়কে সাইকেল চালিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় সরকারের ভূতল পরিবহণ মন্ত্রকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। রবিবার সকালে হরিপালের কানগই মোড় থেকে ডানকুনি টোল প্লাজা পর্যন্ত সাইকেল রালি করলেন তিনি। দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের হরিপাল ব্লক, সিঙ্গুর ব্লক ও চন্ডীতলা-২ ব্লকের মোট ১১টি সাবওয়ে ও সার্ভিস রোড সম্পূর্ণ করার দাবিতে এই কর্মসূচিতে অংশনিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক। কেন্দ্রবিরোধী এই প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এই রাস্তার উপর বিভিন্ন স্থানে সাবওয়ে এবং সার্ভিস রোড করার দাবিতে স্থানীয় মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। কিন্তু কোনওরকম হেলদোল নেই কেন্দ্রীয় সরকারের । এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ভূতল পরিবহণমন্ত্রকে চিঠি পাঠালেও কোনও সুরাহা হয়নি। আমি নিজে মন্ত্রী হয়েও বারবার যোগাযোগ করেছি দিল্লির সঙ্গে।কিন্তু কোনও কথায় কান দেওয়া হয়নি।তাইএখানকার হাজার হাজার মানুষ আমার সঙ্গে সাইকেলে হরিপাল থেকে ডানকুনি পর্যন্ত প্রতিবাদ জানিয়ে সাইকেল মিছিল করলেন।’’

বেচারাম আরও বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কে প্রায় দেড় হাজার মানুষ ও সাড়ে তিন হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে পথ দুর্ঘটনায়।অনেকে আহত হয়েছেন। নির্দিষ্ট করে দেওয়া ১১টা পয়েন্টে আন্ডারপাশ করতে হবে নাহলে দুর্ঘটনা মৃত্যু আরও বাড়বে। দুর্গাপুর রোড চালু হলেও সার্ভিস রোডের কাজ শেষ হয়নি। ফলে গ্রামের মানুষকে জাতীয় সড়কে উঠতেই হয়। চাষের কাজে যেতে বা ফসল নিয়ে বাজারে যেতে হয় জাতীয় সড়ক দিয়ে। আমরা চাইছি এমন একটা ব্যবস্থা যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে,জাতীয় সড়ক এড়িয়ে চলতে পারে।’’ যতক্ষণ না দাবি আদায় হয় ততদিন এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক।

Advertisement

এর আগেও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রীর নেতৃত্বে ধর্না অবস্থান করেছেন গ্রামবাসীরা। হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ্রিয়ার সঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। যে সব জায়গায় আন্ডারপাশের দাবি করা হয়েছে, সেইসব জায়গা পরিদর্শনও করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। জাতীয় সড়কের প্রতিনিধিরা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে গেলেও, এখনও ভূতল পরিবহণ মন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেত মেলেনি বলেই অভিযোগ উঠেছে ।

আরও পড়ুন
Advertisement