কাঁথির কৃষি সমবায় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কাঁথির কৃষি সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কার। ৭৮টি আসনেই ফুটল জোড়াফুল। খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি।
কন্টাই কোঅপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক লিমিটেড (সংক্ষেপে কার্ড ব্যাঙ্ক)-এর নির্বাচনকে ঘিরে শনিবার টানটান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কাঁথি থেকে এগরা— তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। রামনগরে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। সন্ধ্যায় ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা দেল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল। সবুজ ঝড়ে খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল কৃষি সমবায়ের ভোটে কাঁথি এবং এগরা মহকুমা জুড়ে থাকা ৭৮টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। গন্ডগোলের আশঙ্কায় ১৩টি বুথকেন্দ্রে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। বেলা গড়াতেই এই নির্বাচনকে ঘিরে চড়ছিল উত্তেজনার পারদ। কাঁথি শহরের জাতীয় বিদ্যালয়ে থাকা বুথের কাছে তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটারদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ তোলে। পরে এই ঝামেলার রেশ গিয়ে পড়ে এগরাতেও। এগরার কুদির রাসন হাইস্কুলের বুথের সামনে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। জখম হন বিজেপির পাঁচ জন। এর প্রতিবাদে বিজেপি রাস্তা অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
দীর্ঘ দিন এই কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন অধুনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম ওই কৃষি সমবায়ের ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে নেমেছিল পদ্মশিবির। কিন্তু তারা একটি আসনও না-জেতায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
ভোটের ফল প্রসঙ্গে এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, “একটি আসনেও খাতা খুলতেই পারল না বিজেপি। একাধিক জায়গায় তারা তৃণমূলের সঙ্গে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করেছিল। হামলা মারধরও করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব কটি আসনই তৃণমূল ছিনিয়ে নিয়েছে।” এগরার এসডিপিও দেবীদয়াল কুন্ডু বলেন, “সবকটি বুথে কড়া পুলিশি প্রহরার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল। এর ফলে বুথের মধ্যে কোনও প্রকার ঝামেলা হয়নি। বাইরে কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তি হলেও তার কোনও প্রভাব ভোটে পড়েনি।”