TMC vs BJP in Tamluk

শুভেন্দুর জেলায় মোদীর মন্ত্রীকে পাওনার পোস্টার তৃণমূলের, হিসাব-খোঁচা নির্মলার ‘ডেপুটি’র

কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বৃহস্পতিবার তমলুকে গিয়েছিলেন। তাঁর সভাস্থলের সামনে তৃণমূলের তরফে বকেয়া টাকা চেয়ে পোস্টার সেঁটে দেওয়া হয়। তার পর চলছে তরজা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৭
(বাঁ দিকে) কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তমলুকে তৃণমূলের পোস্টার (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তমলুকে তৃণমূলের পোস্টার (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীর সামনে কেন্দ্রের বঞ্চনার পোস্টার সেঁটে দিল তৃণমূল। ওই সমস্ত পোস্টারে বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে যেখানে পঙ্কজের সভা ছিল, সেই রাস্তায় ওই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে তরজা। পাল্টা তার জবাবও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও।

Advertisement

তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাঁকটিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার এসেছিলেন মন্ত্রী পঙ্কজ। বিজেপির বিকাশ সংকল্পযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সভাস্থলের আশপাশে একাধিক পোস্টার দেখা যায়। সেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করা হয়েছে। একটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘‘আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছো কেন? বিজেপি জবাব দাও।’’ এমনই একাধিক পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল এলাকা।

পোস্টারগুলি নিয়ে সভার একেবারে শেষে মুখ খোলেন মন্ত্রী পঙ্কজ। তিনি তৃণমূলের কাছে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার হিসাব চান। বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের কাজের জন্য যে টাকা আপনারা খরচ করেছেন, তার উপযুক্ত শংসাপত্র (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) দেখান। বিপুল টাকা আপনারা নয়ছয় করেছেন। খরচের সঠিক হিসাব দিলেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।’’ পঙ্কজ আরও বলেন, ‘‘সরকারের কাজের নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে। কাজ শেষ হলে তার হিসাব দেখাতে হয়। সাধারণ মানুষের কাজের টাকা আটকে রাখার কোনও ইচ্ছা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই এ কথা সত্য। আমি আগেও সংসদে এ বিষয়ে জবাব দিয়েছি।’’

বাংলায় ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের টাকায় ব্যক্তিগত কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে এ রাজ্যে। আবাস যোজনার প্রকল্পেও বিবিধ অভিযোগ রয়েছে। প্রকৃত কাজ যাঁরা করেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বঞ্চিত হবেন না। মানুষকে আসলে কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে রাজ্য সরকার।’’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির সাফল্যই দেখছেন পঙ্কজ।

এ প্রসঙ্গে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব জানা বলেন, ‘‘কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখুক কেন্দ্র। তা না করে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে মানুষকে ভাতে মারার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কেন এই রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রয়েছে, কেন্দ্রকে তার জবাব দিতে হবে। দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের নামে এ ভাবে টাকা আটকে রাখা বেআইনি।’’

তমলুক মণ্ডল ১-এর বিজেপি সভাপতি মধুসূদন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘দুর্নীতির কারণে এলাকার মানুষ তৃণমূলকে বর্জন করেছে। তৃণমূলের চুরির জন্য সাধারণ মানুষ ১০০ দিন এবং আবাসের টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভোটবাক্সে মানুষ এর জবাব দেবে। যেখানে বকেয়া চেয়ে পোস্টার পড়েছে, সেখানে তৃণমূল সুযোগ পেয়েও উন্নয়নের কোনও কাজ করেনি। তাই ভোটে হেরে গিয়েছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন