TMC

সমবায়ে জয়, আশাবাদী তৃণমূল

সাহাড়া পঞ্চায়েত এলাকায় চকপান সমবায় সমিতিতে গত ২০১৮ থেকে মোট ১২টি আসনই নিজেদের দখলে রেখেছিল তৃণমূল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:০৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর প্রভাব পড়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে। এগরার খাদিকুলে সাহাড়া পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছিল শাসকদল তৃণমূলের। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাতে ফুটেছিল ‘পদ্ম’। সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতের একটি সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো সেখানেও পরিবর্তনের ধারা বজায় থাকার আশা করেছিল বিজেপি। কিন্তু নির্বাচনে প্রথমে পিছিয়ে থেকেও ওই সমিতি ধরে রাখলেন তৃণমূলের সমর্থিত প্রার্থীরা।

Advertisement

সাহাড়া পঞ্চায়েত এলাকায় চকপান সমবায় সমিতিতে গত ২০১৮ থেকে মোট ১২টি আসনই নিজেদের দখলে রেখেছিল তৃণমূল। পরিচালন বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণের পরে শুক্রবার ফের নির্বাচন হয়। ১২টি আসনের জন্য ২৬ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থিতরা ১২টি আসনেই এবং বামেদের সমর্থিতরা দু’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন। সমবায়ে মোট ৭০০ ভোটার রয়েছেন। এ দিন ৫০০ জনের বেশি ভোটার ভোট দেন।

কয়েক বছর আগে এই পঞ্চায়েতের খাদিকুলে যে ব্যক্তির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেই এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দূরেই রয়েছে চকপান সাহাড়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি। খাদিকুলের বিস্ফোরণের পর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে সাহাড়া পঞ্চায়েত হারায় তৃণমূল। স্বাভাবিক ভাবেই এই এলাকার সমবায় নির্বাচন ঘিরেও আশাবাদী ছিল গেরুয়া শিবির। এ দিন বিকেলে ভোট গণনা শুরুতে ১২টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থিতদের মধ্যে। তবে শেষ হাসি হাসে তৃণমূল। তৃণমূলের সমর্থিতরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সাতটি আসনে জয়ী হন। গেরুয়া শিবিরের কাছে যায় পাঁচটি আসন। আর বাম সমর্থিতরা কোনও আসন পাননি।

পঞ্চায়েতে বিজেপির কাছে নাস্তানাবুদ হলেও এখন সমবায়ে জয় আসায় খুশি তৃণমূল। এ ব্যাপারে এগরা-১ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সহ-সভাপতি সত্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষ উন্নয়ন পাশে থেকে তৃণমূলকে আবার আশীর্বাদ করেছেন। অপপ্রচার ও ভাঁওতাবাজি বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।’’ এদিকে, হারলেও নৈতিক ভাবে খুশি গেরুয়া শিবির। দলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তন্ময় হাজার বলেন, ‘‘এলাকার সমবায়ী মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। জয়ের ব্যবধান অন্তত সেই কথা বলছে। তৃণমূলের আসন ছিনিয়ে আমরা পাঁচটি আসনে প্রথমবার জয়ী হয়েছি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন