জেলা জুড়ে শুরু তৃণমূলের সহায়তা শিবির
100 Days Work

বকেয়া পেতে প্রথম দিনে ভিড় কম

এদিন অধিকাংশ শিবিরে শ্রমিকদের ভিড় জমেনি বলে খবর। কিছু পঞ্চায়েত এলাকায় এদিন শিবিরের আয়োজন হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:২৫
নন্দকুমারের কুমরআড়ায় সহায়তা শিবির। নিজস্ব চিত্র

নন্দকুমারের কুমরআড়ায় সহায়তা শিবির। নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে প্রশাসনিক ভাবে জেলার জব কার্ড হোল্ডারদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফাঁকেই তৃণমূলও সেই তথ্য জোগাড়ে এগিয়ে এসেছে আগ বাড়িয়ে। একশো দিনের কাজ প্রকল্পের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা দিতে শুক্রবার থেকে তারা শুরু করেছে তথ্য সংগ্রহের সহায়তা শিবির। সেখানে বকেয়া টাকা প্রাপক শ্রমিকেরা নিজের তথ্য নির্দিষ্ট ফর্মে পূরণ করতে পারবেন। তবে রবিবারের ছুটির আমেজে তৃণমূলের ওই কর্মসূচি শুরুর প্রথম দিনে তেমন ভিড় দেখা যায়নি শিবিরগুলিতে।

Advertisement

আগামী ১ মার্চে শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে টাকা দেবে রাজ্য সরকার। আর আগে এ দিন তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী, নন্দকুমার, চণ্ডীপুর, মহিষাদল, সুতাহাটা, পটাশপুর-১ ও ২, ভগবানপুর-১ ও ২ ব্লক-সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকের অধিকাংশ পঞ্চায়েতে ‘সহায়তা শিবির’ করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পটাশপুর-২ ব্লকে সাউথখণ্ড পঞ্চায়েত এলাকায় সহায়তা শিবিরে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক উত্তম বারিক। তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই পঞ্চায়েত এলাকায় শিবিরে গিয়েছিলেন বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। নন্দকুমার ব্লকের কুমরআড়া পঞ্চায়েত এলাকার শিবিরে যান স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার দে ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবানী দে কুন্ডু। মহিষাদল ব্লকের গড়কমলপুর-সহ পাঁচ’টি পঞ্চায়েত এবং হলদিয়া ব্লকের চার’টি পঞ্চায়েতে সহায়তা শিবিরে ঘুরে দেখেন বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী।

এদিন অধিকাংশ শিবিরে শ্রমিকদের ভিড় জমেনি বলে খবর। কিছু পঞ্চায়েত এলাকায় এদিন শিবিরের আয়োজন হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের নেতৃত্বদের দাবি, প্রথম দিনে শিবির আয়োজনে কিছু ক্ষেত্রে দেরি হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় শ্রমিকরা জমায়েত হলেও দলীয়ভাবে পাঠানো ফর্ম পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কারণে ভিড় কম হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে ভাল সাড়া মিলেছে ।

নন্দকুমার ব্লকে কুমরআড়া পঞ্চায়েত এলাকায় সহায়তা শিবির খোলা হয়েছিল। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিবির চলে। এদিন ওই শিবিরে থাকা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ভীষ্মদেব বেরা বলেন, ‘‘১৫০ জন শ্রমিক এসেছিলেন। প্রথম দিন শিবির হওয়ার কারণে হয়তো ভিড় একটু কম হয়েছে। এলাকায় মাইক প্রচার করা হয়েছে। আশা করছি আগামী কাল থেকে ভিড় অনেকটা বাড়বে।’’ ভিড় তমলুক ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েতের শিবিরেও কম হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেলোমালে সমবায় সমিতির নির্বাচন থাকায় সেখানে স্থানীয় বিষ্ণুবাড়-২, পিপুলবেড়িয়া-১, ২ পঞ্চায়েত এলাকার নেতৃত্ব ব্যস্ত ছিলেন। শিবিরেও শ্রমিকদের ভিড় কম ছিল। তবে সোমবার থেকে সব পঞ্চায়েতেই পুরোদমে শিবির হবে।’’

এদিনের শিবির প্রসঙ্গে তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে শিবিরে ফর্ম পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। তবে অধিকাংশ জায়গায় এদিন শিবিরে শ্রমিকদের ভাল জমায়েত হয়েছে। সোমবার থেকে ভিড় আরও বাড়বে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement