Midnapore

উৎসব মিটলেই কি উপ-নির্বাচন!

মেদিনীপুরে উপনির্বাচনের জন্য ইভিএম অর্থাৎ, বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের যাচাই সারা হয়েছে। ইভিএমের প্রথম দফার পরীক্ষা, অর্থাৎ ‘ফার্স্ট লেভেল অব চেকিং’ (এফএলসি) সারা হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩৬

—প্রতীকী চিত্র।

বিধানসভার উপনির্বাচন আসন্ন মেদিনীপুরে। ভোট কি নভেম্বরেই হবে, জল্পনা একাধিক মহলে। তাদের অনুমান, চলতি অক্টোবরেই ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতে পারে। হরিয়ানা, জন্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হলেই মহারাষ্ট্রে, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। একাধিক মহলের অনুমান, উৎসবের মরসুম শেষ হলেই মেদিনীপুরে ভোট হতে পারে। তারা মনে করাচ্ছে, আগামী ২৬ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। একই সময়ে মেদিনীপুরে উপনির্বাচন হতে পারে। প্রাথমিক প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

Advertisement

মেদিনীপুরে উপনির্বাচনের জন্য ইভিএম অর্থাৎ, বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের যাচাই সারা হয়েছে। ইভিএমের প্রথম দফার পরীক্ষা, অর্থাৎ ‘ফার্স্ট লেভেল অব চেকিং’ (এফএলসি) সারা হয়েছে। মেদিনীপুর বিধানসভায় বুথ রয়েছে সবমিলিয়ে ৩০৪টি। এর দ্বিগুণ সংখ্যক ইভিএমের প্রথম দফার পরীক্ষা সেরে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, ৬০৮টি ইভিএমের এফএলসি হয়েছে। মেদিনীপুর এখন বিধায়ক শূন্য। মেদিনীপুরের বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের জুন মালিয়া। ২০২১ এর ভোটে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। জিতেছিলেন তিনি। জুনকেই এ বার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। জিতেছেন তিনি। লোকসভা ভোটে জেতার পরে নিয়মানুযায়ী বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন জুন। তিনি ইস্তফা দেওয়ায় মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, এখানে উপনির্বাচনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। সাধারণত, আসন শূন্য হয়ে পড়ার ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। একাধিক মহলের অনুমান, নভেম্বরেই এখানে উপনির্বাচন হতে পারে। এফএলসি শেষে নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট গিয়েছে। জানানো হয়েছে, কতগুলি ইভিএম ‘পাশ’ করেছে অর্থাৎ, ঠিকঠাক রয়েছে। কতগুলি ‘ফেল’ করেছে অর্থাৎ ঠিকঠাক নেই। ত্রুটি রয়েছে। ’

শীঘ্রই উপনির্বাচন হবে ধরে নিয়ে মেদিনীপুরে প্রস্তুতি সারাও শুরু হয়েছে। লক্ষ্য সুষ্ঠুভাবে বিধানসভার উপনির্বাচন পরিচালনা করা। প্রয়োজনীয় সবক’টি সেল গঠনের প্রাথমিক প্রস্তুতি সারা হয়েছে। কোন সেলের কী কাজ, সে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু সেল প্রাথমিক কাজও শুরু করেছে। ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতিতে কী কী সেল গঠন করতে হয়? জানা গিয়েছে, দশটিরও বেশি সেল গঠন হয়। যথাক্রমে ম্যানপাওয়ার ম্যানেজমেন্ট, ট্রেনিং ম্যানেজমেন্ট, মেটেরিয়ালস্ ম্যানেজমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট, আইটি কমিউনিকেশন অ্যান্ড এসএমএস পোল, এসভিইইপি অ্যান্ড মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ল’ অ্যান্ড অর্ডার-সিকিয়োরিটি প্ল্যান- ভারনাবিলিটি ম্যাপিং, ইভিএম ম্যানেজমেন্ট, এমসিসি- কমপ্লেনস্ মনিটরিং, এক্সপেনডিচার মনিটরিং
ব্যালট পেপার- পোস্টাল ব্যালট- ই রোল ম্যানেজমেন্ট, অবজারভার, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, নমিনেশন, লজিস্টিক এবং স্ট্যাটুটরি অ্যান্ড রিপোর্টস্ সেল প্রভৃতি।

প্রশাসনিক মহল মনে করাচ্ছে, যে কোন ভোটের সময়ই বিভিন্ন কাজের তদারকিতে সেল গঠন করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে কমিশনেরও নির্দেশ থাকে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ভোটপর্ব নির্বিঘ্ন করতে নির্বাচন কমিশন যেমন যেমন নির্দেশ দেবে, সে সবই মেনে চলা হবে। সেই মতোই যাবতীয় পদক্ষেপ হবে।’’ উপনির্বাচনে ভোটের হার তুলনায় কম হয়। একাধিক মহলের মতে, ভোটারদের বুথমুখী করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

আরও পড়ুন
Advertisement